এম হেলাল উদ্দিন নিরব
চন্দনাইশ:>>চন্দনাইশ উপজেলা ধোপাছড়ি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে চামাছড়ি এলাকার কৃষক আবুল বশরের ২ একর জমিতে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার ৩ প্রজাতের ফলজ বাগান কেটে দিয়েছেন বন-বিভাগের কর্মকর্তা।
শনিবার (১০ জুলাই) ভোর ৬ টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। বিগত এক বছর আগে বন-বিভাগ থেকে অনুমতি নিয়ে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পেঁপে,বড়ই,সুপারি,লেবু বাগান করি।
এই বাগানকে ঘিরে প্রতিনিয়ত টাকা দাবি করত বন-বিভাগের কর্মকর্তারা। প্রতিবার টাকা দিলেও লকডাউনের কারণে এবার দাবিকৃত টাকা দিতে পারিনি। এজন্য বিট কর্মকর্তার নেতৃত্বে প্রায় ২ শতাদিক বনকর্মীরা আমার এই বাগান কেটে দিয়ে যায়।
সরেজমিনে গিয়ে ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ধোপাছড়ি চামাছড়ি এলাকার ভিলেজার মৃত জলিল বকসুর ছেলে আবুল বশর অনেক কষ্ট করে ব্যাংক ও এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে পাহাড়ের পাদদেশে প্রায় ২ একর জমিতে পেঁপে বাগান করেন। ইতিমধ্যে বাগানে ফল ধরা শুরু করেছে।
ধোপাছড়ি বিট কর্মকর্তার চাহিদা পূরণ করতে না পাড়ায় বিট কর্মকর্তা আবুল বশরের একমাত্র বেচে থাকার সম্বল পেঁপে বাগান কেটে সাবাড় করে দেয়। যার বাজার মূল প্রায় ২০ লক্ষ টাকা।
বর্তমানে কান্নার আহাজারির মধ্যদিয়ে দিন পার করছেন কর্তনকৃত বাগানের মালিক আবুল বশর ও তার পরিবার। ঋণের বুঝা মাথায় নিয়ে ছুটাছুটি করছে এইদিক সেইদিক। হয়ত আবুলের বশরের মাথা গুজার জায়গা বসত ভিটাও চলে যাবে ঋণ পরিশোধ করতে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল জব্বার বলেন, আবুল বশরের বাবা রেজিস্ট্রিকৃত ভিলেজার হিসেবে সরকারি কাজে সহযোগিতা করেছিলেন। প্রায় ৪০ বছর ধরে বিভিন্ন ফলফলাদির বাগান করে জীবিকা নির্বাহ করতেন তিনি।
পিতার ধারাবাহিকতায় আবুল বশরও ফলের বাগান সৃজন করেছিলেন। কোন ধরনের পূর্ব নোটিশ ছাড়া কয়েক হাজার পেঁপে গাছ কেটে ফেলাটা অমানবিক কাজ হয়েছে।
এব্যাপার দোহাজারী রেঞ্জ কর্মকর্তা সিকদার আতিকুর রহমান জানান,বন-বিভাগ থেকে অনুমতি ও টাকা চাওয়া কথাটি সম্পন্ন মিথ্যা। আবুল বশর দীর্ঘ দিন থেকে বন-বিভাগের জায়গা দখল করে বাগান করে আসছে।
এবিষয়ে একাধিকবার তার সাথে কথা ও বৈঠক করলেও কোন ধরণের সমাধান না হওয়ায় উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নিদের্শে এ বাগান কেটে পেলা হয়েছে
+ There are no comments
Add yours