রাঙ্গুনিয়ায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ভোগান্তিতে ১০ গ্রামের মানুষ

Estimated read time 1 min read
Ad1

মাইকেল দাশ,

রাঙ্গুনিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ভোগান্তিতে পড়েছেন অন্তত ১০ গ্রামের মানুষ। এই এলাকার মানুষদের অভিযোগ নিত্য বিদ্যুৎ বিভ্রাটে স্বাভাবিক জীবনও ব্যাহত হয়ে পড়েছে তাঁদের।

উপজেলার মরিয়মনগর ইউনিয়ন, রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার সৈয়দবাড়ি (একাংশ) ও ইছামতী এলাকার বাসিন্দারা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের প্রতিকার না পেয়ে আন্দোলনে যাওয়ার কথা জানান।

তবে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের দাবি সঞ্চালন লাইনে ক্রটি কিংবা কোনো সমস্যা হলে অনেক সময় বিদ্যুৎ বন্ধ থাকে। ইচ্ছে করে বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হয়না।

এলাকার বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ভোগান্তি পোহালেও কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁরা কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না।

তাঁদের অভিযোগ,আশপাশের এলাকাগুলোতে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকলেও এসব এলাকায় বিদ্যুৎ সব সময় আসা যাওয়া করে। অনেক সময় ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হয়।

মরিয়মনগর ইউনিয়নের গ্রাহক মো. করিম উদ্দিন বলেন, এলাকায় প্রায় সময় ঘন্টার পর ঘন্টার বিদ্যুৎ থাকেনা।

বিদ্যুৎ বন্ধ থাকার পর অফিসে খোঁজ নিলে তাঁদের অভিযোগ কেন্দ্রের মুঠোফোনে সংযোগ পাওয়া যায়না। বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অনেক সময় প্রাত্যহিক কর্মকান্ড ব্যাহত হযে পড়ে। ”

রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার ইছামতী এলাকার বাসিন্দা মো. লোকমান বলেন, “একটু বৃষ্টির আভাস পেলে বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যায়। বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করলে অনেক সময় তাঁরা বলেন বিদ্যুৎ লাইনে গাছ পড়ার কারনে বন্ধ করা হয়েছে।

সারা বছর বিদ্যুৎ বন্ধ রেখে গাছ কাটা ও রক্ষণাবেক্ষনের কাজ করলেও সব সময় লাইনে ত্রুটির কথা বলে বিদ্যুৎ বন্ধ রাখে। অনেক সময় লাইনে ত্রুটি সারাতে গিয়ে দিনভর বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হয়। তখন গ্রাহকরা ভোগান্তিতে পড়েন।

সৈয়দবাড়ি এলাকার বাসিন্দা মো. জুয়েল বলেন, “ একটি বিশেষ বিদ্যুৎ লাইনে সবসময় বিদ্যুৎ থাকে ।কিন্তু আমাদের বিদ্যুৎ লাইনে সব সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট লেগেই আছে।

বিদ্যুৎ বিতরণে এতো বৈষম্য কেন ? দীর্ঘদিন এর প্রতিকার না পেয়ে আমরা ১০ গ্রামের মানুষ একত্রিত হয়ে আন্দোলনের কথা ভাবছি।”

একই এলাকার বাসিন্দা মো. মাহাবুবুল আলম বলেন, “ আমাদের পাশের ঘরে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ থাকলেও আমাদের ঘরে ঘন ঘন বিদ্যুৎ আসা যাওয়া করে। অনেক সময় ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হয়।

সন্ধ্যার পর একটি নির্দিষ্ট সময়ে বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা রুটিন হয়ে গেছে। এই সময় বিদ্যুৎ বন্ধ থাকলে সন্তানদের পড়ালেখার ব্যাঘাত হয়। এক ঘরে বিদ্যুৎ থাকবে, পাশের ঘরে বিদ্যুৎ থাকবেনা এই বৈষম্য দূর করে লাইনটি একিভূত করার জোর দাবি জানাচ্ছি।”

জানতে চাইলে পল্লী বিদ্যুৎ রাঙ্গুনিয়া কার্যালয়ের উপ-ব্যবস্থাপক(ডিজিএম) মাধব নাগ বলেন, “ আমি নতুন আসছি, তাই সবকিছু জানব না। তবে এখন তো কোনো লোডশেডিং নেই। প্রচন্ড ঝড়, বজ্রপাত, কিংবা সঞ্চালন লাইনে গাছ পড়লে এসব এলাকায় বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হয়। ইচ্ছাকৃতভাবে বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হয়না।

দুটি সাবষ্টেশন থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার কারনে পাশাপাশি ঘরে হয়তো বিদ্যুৎ থাকা না থাকার সমস্যাটা হয়। আবার অনেক গুরুত্বর্পূন এলাকায় বিদ্যুৎ হয়তো একটু বেশি রাখা হয় এটা স্বাভাবিক। এসব সমস্যা সমাধানের চেষ্ঠা করছি।”

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours