◾ নূরুল আবছার নূরী
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ঘোষিত দুই সপ্তাহের লকডাউন চলছে সারাদেশ তথা চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে। ফটিকছড়ি সদর বিবিরহাট ও নাজিরহাটে লকডাউন অনেকটা কার্যকর হলেও গ্রামগঞ্জে, পাড়া-মহল্লায় লকডাউন মানছেন না কেউই। মাস্ক সহ বিধিনিষেধ মানতে উদাসীন সাধারণ জনতা।
লকডাউনের প্রথম ও দ্বিতীয় দিনে বিনা প্রয়োজনের ঘর থেকে বের হওয়া ও লকডাউনের বিধিনিষেধ মানাতে মাঠে দেখা গেছে উপজেলা প্রশাসনকে। তবে প্রশাসন যতক্ষণ মাঠে ততোক্ষণই মানুষ বাধ্য হয়ে মানে বিধিনিষেধ।
এদিকে গত শুক্রবার উপজেলার ফটিকছড়ি পৌরসভা এলাকায় করোনা উপসর্গ (জ্বর, সর্দি, কাশি) নিয়ে মারা যায় আনুমানিক ৩৫ বছরের এক যুবক। ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়-সাধারণ মানুষের মাঝে স্বাস্থ্যবিধি এমনকি মাস্ক পড়া নিয়েও তারা উদাসীন। চায়ের দোকান গুলোয় ভিড়। স্থানীয় এক ফার্মেসী ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে জানা যায়, কেউই মাস্ক পড়েনা। কেউ যদি বলে মাস্ক পড়তে উল্টো কথা শুনতে হয়।
এছাড়াও ফটিকছড়ি সদরে কঠোরতা পরিলক্ষিত হলেও গ্রামগঞ্জে, পাড়া-মহল্লায় ঢিলেঢালা অবস্থায় চলছে ফটিকছড়ির লকডাউন। অনেকেই মানছে না সরকারি নিষেধাজ্ঞা। এমনকি মাস্ক ছাড়াই ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে বহু মানুষকে।
উপজেলার দক্ষিণ রাঙ্গামাটিয়া, কাজিরহাট ও কর্ণফুলি চা বাগান এলাকার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মোড়ে মোড়ে আড্ডা জমিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। চায়ের দোকানে রয়েছে ছোটখাটো ভিড়। খোলা রয়েছে মুদি দোকান সহ অন্যান্য দোকান। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে চলছে এসব দোকান। দোকানদারেরা শাটার অর্ধেক নামিয়ে রাখছেন, প্রশাসন আসছে সন্দেহ হলেই পুরো শাটার নামিয়ে রাখছে।
এদিকে গত শুক্রবার (২৩ জুলাই) চট্টগ্রাম সিভিল সার্জনের দেয়া এক তথ্যে দেখা যায় এদিন চট্টগ্রাম জেলায় সর্বোচ্চ করোনা রোগী ৬৩জন শনাক্ত হয়েছে ফটিকছড়ি উপজেলায়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহিনুল হাসান বলেন, ‘লকডাউন কার্যকরে সব সময় মাঠে আছে প্রশাসন। আমরা ফটিকছড়ির সব জায়গায় যাব। সব ধরনের খেলা বন্ধের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এরপরেও যেকোন তথ্য যদি থাকে প্রশাসনকে জানানোর জন্য অনুরোধ রইল।
+ There are no comments
Add yours