বোয়ালখালী প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল ৩১ জুলাই শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের মীরপাড়া নুরজাহান ম্যানশনের রোকেয়া বেগমের ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। এতে রাতেই ধর্ষিতা প্রবাসীর স্ত্রী বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন এবং পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে এক নারীসহ তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- পূর্ব গোমদন্ডী মীর পাড়ার মো. বদিউল আলমেল ছেলে মো. কামাল হোসেন (৪২) ও মো. নুরুল ইসলামের ছেলে মো. গিয়াস উদ্দিন (২৮), সারোয়াতলী গ্রামের রোকেয়া বেগম।
উক্ত ঘটনায় আজ রবিবার সকালে চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক (পিপিএম) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পটিয়া সার্কেল) মো. তারিক রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
থানায় দায়েরকৃত এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী প্রবাসীর স্ত্রীর ৭ মাসের কন্যা শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে গতকাল (৩১ জুলাই) বিকেলে উপজেলা সদর হাসপাতালের সামনে একটি ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনতে যান। ওই সময় তিনি তার পূর্বপরিচিত রোকেয়া বেগমের কাছ থেকে ২ হাজার টাকা ধার নেয়ার জন্য ফোন দেন। রোকেয়া প্রবাসীর স্ত্রীকে তার বাসায় যেতে বলেন এবং রফিক নামের এক ব্যক্তিকে পাঠিয়ে তার বাসায় নিয়ে যান। এ সময় ধর্ষণকারী কামাল ও গিয়াস রোকেয়ার বাসায় আসেন। তারা রোকিয়ার সহায়তায় ভুক্তভোগীকে জোরপূর্বক জাহান ম্যানসনের খালি রুমে নিয়ে যান। সেখানে তার মুঠোফোনটি কেড়ে নেয়া হয়। তাতে বাধা দিলে রোকেয়া ভুক্তভোগীকে চড়থাপ্পড় মেরে রুম থেকে চলে যান এবং বাইরে থেকে দরজার সিটকিনি লাগিয়ে দেন। ওই সময় কামাল ও গিয়াস তাকে রুমের ভেতর জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান। এ সময় ধর্ষিতার চিৎকার শুনে পাশের বাড়ির সাইফুদ্দিন নামের এক ব্যক্তি এগিয়ে আসলে তার সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়ে ধর্ষিতা বোয়ালখালী থানায় যান।
তবে গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তরা ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, এটা পরিকল্পিত। তারা এ ঘটনার সাথে জড়িত নন। ওই বাসায় বহিরাগত লোক অসমাজিক কার্যকলাপ করছে খবর পেয়ে তারা যান এবং ওই নারীকে চড়-থাপ্পড় মারেন। এরপর ওই নারী তাদের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণের অভিযোগ আনেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পটিয়া সার্কেল) মো. তারিক রহমান বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে মামলাটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় নারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি একজন পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম বলেন, আসামিদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এবং তাদের আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। ধর্ষিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ফরেনসিকে পাঠানো হয়েছে।
+ There are no comments
Add yours