খবর বাংলা ডেস্ক
মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান কঠোর বিধিনিষেধের (লকডাউন) মেয়াদ বাড়িয়ে আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত করা হয়েছে। তবে আগামী ১১ আগস্ট থেকে সীমিত পরিসরে দোকানপাট ও মার্কেট খোলা হবে। খুলবে সরকারি-বেসরকারি অফিসও। সেই সঙ্গে সীমিত পরিসরে চলাচল করবে গণপরিবহন
মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) দুপুরে কঠোর বিধিনিষেধের বিষয়ে সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সংবাদমাধ্যমকে এ সব তথ্য জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক।
সভা শেষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী বলেন, আগামী ১ সপ্তাহে ১ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ওয়ার্ড-ইউনিয়নে ৫ থেকে ৭টা কেন্দ্র করে ১ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। মানুষকে ভ্যাকসিন নিতে দৌড়াতে হবে না, আমাদের লোকজনই তাদের কাছে পৌঁছে যাবে।
মন্ত্রী বলেন, ১৪ হাজার কেন্দ্রে একযোগে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। সেখানে আমরা বয়স্কদের অগ্রাধিকার দেব। কারণ বৃদ্ধদের মৃতুঝুঁকি বেশি বলে মনে হয়েছে। একইসঙ্গে শ্রমিক, বাসের হেলপারসহ সবাইকে ভ্যাকসিন নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।
মোজাম্মেল হক বলেন, ভ্যাকসিন ছাড়া কেউ কর্মস্থলে আসতে পারবেন না। ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট থাকতে হবে। ভ্যাকসিন দিলেই ওয়েবসাইটে চলে যাবে। সেগুলো চেক করা হবে। ভ্যাকসিন দেওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে ওয়েবসাইটে দিয়ে দেব। ভ্যাকসিন নিয়েছে কিনা যাচাই করতে পারব। আর এ ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য আগামী ৭, ৮, ৯ আগস্ট এ তিন দিন সুযোগ রাখলাম। যাতে তারা ভ্যাকসিন নিয়ে ব্যবসা কেন্দ্র খুলতে পারে।
লকডাউন বাড়ানোর বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, কঠোর লকডাউনের মেয়াদ আমরা আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়াচ্ছি। কারণ ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য আমরা এ ১০ তারিখ পর্যন্ত সুযোগ দিচ্ছি। আর ১১ তারিখ থেকে যাতে সব কিছু খুলতে পারে আমরা সেই সুযোগ রেখেছি।
তিনি বলেন, ১১ আগস্টের পর ভ্যাকসিন ছাড়া কেউ চলাফেরা করলে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। সবাইকে অবশ্যই ভ্যাকসিন নিতে হবে। ১১ আগস্ট থেকে দোকানপাট খুলে দেওয়া হবে। ওইদিন থেকে সড়কে সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চলাচল করবে। খুলবে সরকারি-বেসরকারি অফিসও।
+ There are no comments
Add yours