এম ডি রায়হান | কক্সবাজার
খুব কাছ থেকে ৪টি গুলি করায় অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদের শরীরে ছয়টি ক্ষতচিহ্ন তৈরি হয়েছে। বামপাশের মাংসপেশী, ফুসফুস ও হৃদপিণ্ড ফাটা অবস্থায় পাওয়া গেছে। শরীরের বিভিন্ন অংশেও ছিল জমাট রক্তের চিহ্ন। ময়নাতদন্তে আঘাতের ধরনকে বলা হয়েছে হত্যাপূর্ণ।
মেজর অবসরপ্রাপ্ত সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান তার সহযোগী সিফাতকে নিয়ে কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ দিয়ে রিসোর্টে যাবার পথে বাধার মুখে পড়ে শাপলাপুর পুলিশ চেকপোস্টে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানা যায়, কিছু বুঝে ওঠার আগেই অস্ত্র তাক করে সিনহাকে গাড়ি থেকে নামতে বলেন, ইন্সপেক্টর লিয়াকত। আত্মসমর্পণের ভঙ্গিতে গাড়ি থেকে বের হতেই সিনহাকে পরপর চারটি গুলি করেন তিনি।
ময়না তদন্ত রিপোর্ট বলছে, খুব কাছ থেকে গুলি করা হয় সিনহাকে। ফলে চারটি গুলি তার দেহে মোট ছয়টি ক্ষত তৈরি করেছে। বাম কাঁধের নিচে, বাম হাতে, বুকের বাম পাশের নিচে দিকে, পিঠে, পিঠের নিচে এবং পিঠের বাম পাশে পাওয়া যায় ক্ষতচিহ্ন।
নিহত মেজর সিনহার দুই সহযোগী থেকে একজন স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শিপ্রা দেবনাথ জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছিল রবিবার তবে সে দিন মুক্তি মেলেনি সিফাতের।তবে আদালতের কাছে জামিনের আবেদন করে রেখেছিল সিফাতের আইনজীবী,আজ সোমবার কক্সবাজার আদালত থেকে জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পান আরেক সহযোগী সিফাত ও।
আর, সিনহা হত্যা মামলায় সাত পুলিশ সদস্যকে র্যাবের নেবার কথা থাকলেও হয় নি তা। স্বাস্থ্যপরীক্ষাসহ সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে সোমবার তাদেরকে র্যাবের কাছে হস্তান্তরের কথা রয়েছে।
+ There are no comments
Add yours