ডেস্ক নিউজঃ দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল, বিআরটিএ ও পাসপোর্ট অফিসে একযোগে ‘দালালবিরোধী’ অভিযান পরিচালনা করেছে র্যাবের ১৫টি ব্যাটালিয়ন।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আজ রবিবার বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মিরপুর বিআরটিএসহ সারাদেশে বিভিন্ন হাসপাতাল, পাসপোর্ট অফিস ও বিআরটিএ অফিসে বেলা ১০টার দিকে একযোগে এই অভিযান শুরু হয়েছে।
ঢাকার সঙ্গে একযোগে চট্টগ্রামের বিআরটিএ’র আঞ্চলিক কার্যালয় ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দালাল বিরোধী অভিযান চালিয়েছে র্যাব ৭।
এসময় চমেক হাসপাতাল থেকে ৭ জন ও বিআরটিএ থেকে ২০ জনকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জেল জরিমানা করা হয়।
রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার পর একযোগে এ অভিযান পরিচালনা করে র্যাব-৭। এসময় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা তাদের সহযোগিতা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব ৭ সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার গণমাধ্যমকে বলেন, চট্টগ্রামের বিআরটিএ’র আঞ্চলিক কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে ৩২ জনকে দালাল সন্দেহে আটক করা হয়। পরে সেখান থেকে যাচাই-বাছাই শেষে ২০ জনের বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়ায় তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে প্রায় ২ লাখ ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
একই সময়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা থেকে ৭ দালালকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুইজনকে অর্থদণ্ড ও ৫ জনকে জেল দেওয়া হয়।
বিআরটিএতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিসান বিন নাদির এবং চমেক হাসপাতালে পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামনুন আহমেদ অনিক।
এদিকে, ঢাকার কেরানীগঞ্জে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) ও পাসপোর্ট অফিসে দালালদের বিরুদ্ধে একযোগে অভিযান পরিচালনা করে ৫১ জনকে আটক করেছে র্যাব।
রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিআরটিএ ও পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় একযোগে অভিযান শুরু করে র্যাব-১০ এর পৃথক দল।
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, বিআরটিএ অফিসে দালালির অভিযোগে ৩৬ জন এবং পাসপোর্ট অফিসে দালালির অভিযোগে ১৫ জনকে আটক করে র্যাব-১০। পাসপোর্ট অফিসে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল ইসলাম।
+ There are no comments
Add yours