বিপুল মিয়া, ফুলবাড়ী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের ভাঙ্গামোড় হতে রাঙ্গামাটি পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ কাঁচা রাস্তাটির বেহালদশা।প্রতিবছর বর্ষার পরে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় এ রাস্তা দিয়ে যাতায়তকারীদের। সবশেষ বন্যায় পানিতে তলিয়ে গোটা রাস্তাটিতে সৃষ্টি হয়েছে খানা-খন্দ, প্রায় ২৫ মিটার অংশ স্রোতের তোড়ে ভেঙ্গে যাওয়ায় বর্তমানে রাস্তাটি যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে গেছে।
রাস্তাটি কাঁচা হলেও অত্র এলাকার মানুষের জীবন জীবিকায় যথেষ্ট গুরুত্ব বহন করে।রাস্তাটির আশপাশের গ্রামগুলির ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষকে চিকিৎসা, শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষি, পরিবহন ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে পুরোপুরি নির্ভর করতে হয় এ রাস্তার উপর। দীর্ঘদিন ধরে চলাচলে চরম ভোগান্তির শিকার এলাকাবাসী অবশেষে নিজেদের উদ্যোগে সেচ্ছাশ্রমে রাস্তাটির কিছু অংশের সংস্কার কাজ শুরু করেছেন।
এলাকাবাসী জানান, চলাচলে চরম ভোগান্তি নিয়ে এ রাস্তা দিয়ে যাতায়ত করতে হয়- রাঙ্গামাটি উচ্চ বিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি কাছিমুল উলুম হাফেজিয়া মাদ্রাসা, কাগজীপাড়া সিদ্দিকিয়া নুরানি হাফেজিয়া কওমি মাদ্রাসা, সাইফুর রহমান সরকারী মহাবিদ্যালয় সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের।
তাছাড়াও রাঙ্গামাটিতে অবস্থিত আবাসনে (গুচ্ছ গ্রাম) এবং রাঙ্গামাটি কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবা নিতে আসা গর্ভবতী মা ও শিশুদের এ রাস্তাদিয়ে যাতায়ত করতে হয় ।রাস্তার বেহালদশায় সকল প্রকার যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হওয়ায় বর্তমানে তাদেরকে পায়ে হেটেই ক্লিনিকে যেতে হয়। গুরুতর অসুস্থ্য রোগীকে হাসপাতালে নিতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় অনেককেই।
উৎপাদিত কৃষি পণ্য বিক্রয় ও দৈনন্দিন চাহিদা পূরণে অত্র এলাকাবাসীকে এ রাস্তা দিয়েই পার্শ্ববর্তী খোলার হাট বাজার,খোঁচাবাড়ী বাজার, নেওয়াশী বাজার, পাখির হাট বাজার, রাঙ্গামাটি বাজার, খড়িবাড়ি বাজার ও উপজেলা সদরে যেতে হয়।
রাস্তাটি সেচ্ছাশ্রমে সংস্কার করতে এসে রাঙ্গামাটি গ্রামের জলিল সরদার, ছাইয়েদুল হক, রাঙ্গামাটি গ্রামের হারুন পাটোয়ারী, আব্দুল কাদের এবং হলোখানা গ্রামের বাসিন্দা আবু বকর সিদ্দিক ও আলমগীর হোসেন বলেন – আমরা প্রতি বছর বর্ষার পরে এ রাস্তাটির কারণে চরম ভোগান্তির শিকার হই।বর্তমানে রাস্তাটি চলাচলের একেবারে অযোগ্য হয়ে পড়েছে।থমকে গেছে আমাদের স্বাভাবিক জীবন-যাপন।
আমরা অনেকদিন ধরে রাস্তাটি মেরামতে কারও কোন আগ্রহ দেখিনি। তাই বাধ্য হয়ে গ্রামবাসীরা মিলে রাস্তার মেরামত কাজ শুরু করেছি।
এ সময় তিন গ্রামের ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষের যাতায়তের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটির দ্রুত মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট দাবিও জানান তারা।
+ There are no comments
Add yours