পাঁচটি পয়সাও পাননি কৃষ্ণকলি

Estimated read time 1 min read
Ad1

কাজী কৃষ্ণকলি ইসলাম। ছবি: প্রথম আলোকাজী কৃষ্ণকলি ইসলাম। ছবি: প্রথম আলোকলার টিউন থেকে ইউটিউব, কত জায়গাতেই না গান শুনিয়ে যাচ্ছেন কাজী কৃষ্ণকলি ইসলাম। অর্থাৎ এসব প্ল্যাটফর্মে ব্যবহৃত হয়ে আসছে তাঁর গান। মনিটাইজ করা বহু ইউটিউব চ্যানেল মেধাস্বত্ব আইন ভেঙে ব্যবহার করছে তাঁর গান। এসব প্ল্যাটফর্ম থেকে কখনো কোনো সম্মানী পাননি কৃষ্ণকলি। নিজের গানগুলোকে একত্র করতে সম্প্রতি একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলেছেন এই শিল্পী। কৃষ্ণকলি অফিসিয়াল নামের ওই চ্যানেলে তাঁর নতুন গানগুলোর সঙ্গে ধীরে ধীরে পাওয়া যাবে পুরোনো গানগুলো।

কৃষ্ণকলির অ্যালবামগুলো ছিল জনপ্রিয় ও ব্যবসাসফল। শিল্পী হিসেবে তিনি পেয়েছেন গ্রহণযোগ্যতা ও খ্যাতি। ২০০৭ সালে ‘সূর্যে বাঁধি বাসা’ অ্যালবামটি দিয়ে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। ‘আলোর পিঠে আঁধার’ ও ‘বুনোফুল’ নামে পরে আরও ‍দুটি অ্যালবাম প্রকাশ করেন তিনি। ২০১০ সালে ‘মনপুরা’ সিনেমায় ‘যাও পাখি বলো তারে’ গানটির জন্য শিল্পী চন্দনা মজুমদারের সঙ্গে যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ নারী কণ্ঠশিল্পী হিসেবে পান জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এ ছাড়া তিনি মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারও পেয়েছেন।

এতকাল পরে কেন ইউটিউবে চ্যানেলের কথা ভাবছেন এই শিল্পী? কৃষ্ণকলি বলেন, ‘ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে আমার গাওয়া গানগুলো লাখ লাখ ভিউ হয়ে আছে। সেসব জায়গা থেকে এখন পর্যন্ত একটা চৌকোনা পাঁচ পয়সাও আমি পাইনি। আগেও টেলিকমগুলো কলার টিউন হিসেবে আমার গানগুলো ব্যবহার করেছে। সেখান থেকেও কোনো পয়সা আসেনি। এতকাল করে মনে হলো আমার একটা অবস্থান নেওয়া দরকার।’ কৃষ্ণকলি মনে করেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের একজন শিল্পী হিসেবে নিজের মেধাস্বত্ব ফিরে পাওয়ার অধিকার রাখেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আইন অনুযায়ী আমার ইনটেলেকটুয়াল প্রোপার্টি পাঁচ বছরের বেশি কেউ অউন করতে পারবে না। এটা নিয়ে আমি এখন থেকে লড়াই করব। এ কারণে আমি মনে করছি, আমার একটি ইউটিউব চ্যানেল দরকার।’

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours