নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পশু জবাই,বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি

Estimated read time 1 min read
Ad1

বিপুল মিয়া, ফুলবাড়ী( কুড়িগ্রাম )প্রতিনিধি >>

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মাংস বিক্রেতারা (কসাই) পশু (ছাগল) জবাই করে বাজারে বিক্রি করছেন।

উপজেলা পশু সম্পদ বিভাগ ও উপজেলা স্যানেটারী বিভাগের কঠোর নজরদারী না থাকায় মারাত্বক স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে বলে জানিয়েছেন সচেতনমহল।

অন্য দিকে পশু (ছাগল) জবাইয়ের জন্য নির্ধারতি কোন জবাইখানা না থাকায় মাংস বিক্রেতারা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ছাগল জবাই করে বাজারে মাংস বিক্রি করছে।

সরেজমিনে উপজেলার বালারহাট বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, ছাগল জবাই করে ছাল তুলছেন দুইজন কসাই। পাশেই ছাগলের রক্তগুলো খাচ্ছে একটি কুকুর।

এভাবেই তারা নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ছাগল জবাই করে আসছেন।তারা প্রতিদিন বালারহাট বাজারে নোংরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ছাগল জবাই করে মাংস বিক্রি করেন।

ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকা সত্তে ও ক্রেতারা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে জবাই করা এসকল পশুর মাংস ক্রয় করছেন।শুধু মাংস বিক্রেতাই নয় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মাংস বিক্রির পাশাপাশি মাছ বিক্রেতারাও মাছ বিক্রি করে আসছেন অনেকদিন ধরে।

পশু জবাইয়ের আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার নিয়ম থাকলেও তা মানা হচ্ছে না ফুলবাড়ীর হাট-বাজার গুলোতে। ফলে চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছেন সাধারণ মানুষ।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বালারহাট বাজারের কয়েকজন মাংস ক্রেতা জানান, কসাইরা প্রতিদিনই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ছাগল জবাই করে মাংস বিক্রি করছে।

বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় আমরা অগত্যা স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে এসব মাংস ক্রয় করছি।এরা কয়েকজন মিলে সিন্ডিকেট হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে মাংসে প্রচুর পরিমান পানি দিয়েও বাড়তি দামে বিক্রি করছে বলে তারা জানান।

স্বাস্থ্যসম্মত মাংস বিক্রি নিশ্চিত করতে আধুনিক পশু জবাই কেন্দ্র নির্মান এবং পশু জবাইয়ের আগে প্রতিটি পশুর পরীক্ষার দাবী জানান তারা।

বালারহাট বাজারের মাংস বিক্রেতা মাসুদ রানা বলেন, বাজারে পশু জবাইয়ে নির্ধারিত জায়গা না থাকায় দোকানের সামনেই পশু জবাই করি।

আগে পশু জবাইয়ের পুর্বে পরীক্ষার জন্য উপজেলা প্রানী সম্পদ ও উপজেলা স্যানেটারী বিভাগের কর্মকর্তারা আসতো।

আসেনি কিন্তু গত কয়েক মাস থেকে তারা আসেন না। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পশু জবাই ও মাংস বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করেন।

নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বালারহাট বাজার কমিটির সভাপতি মুসাব্বের আলী মুসা জানান, বিষয়টি অনেকেই আমার কাছে অভিযোগ করেছে।এ ব্যাপারে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে ফুলবাড়ী হাসপাতালের স্যানিটারী ইন্সপেক্টর শামছুল আরেফিন জানান,কোন অসুস্থ্য বা রোগাক্রান্ত পশু জবাই করছে কি না সে ব্যাপারে আমরা খুবেই তৎপর।

তবে কোন মাংস বিক্রেতা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পশু জবাই করলে তার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours