চেয়ারম্যান পদে আ.লীগের মনোনয়ন পেতে নেতাদের দৌড়ঝাঁপ, নিরব বিএনপি

Estimated read time 1 min read
Ad1

খবর বাংলা প্রতিবেদন: 

দ্বিতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন পেতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ইতোমধ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়ে গেছে। দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ বাড়ানো, সশরীরে হাজিরা দেয়া, ক্ষমতাধর এমপির আশীর্বাদ নেয়ার ধুম পড়েছে প্রার্থীদের মধ্যে।

দলীয় মনোনয়ন পেলেই নির্বাচিত হবেন-এমনটাই প্রত্যাশা করে যে কোনো মূল্যে নৌকা পাওয়ার প্রতিযোগিতা শুরু করেছেন। তবে এই প্রতিযোগিতায় ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতারা অবমূল্যায়িতই রয়ে যাবেন বলে মনে করছেন তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। যার লবিং যত শক্ত, তিনিই মনোনয়ন বাগিয়ে আনতে পারবেন বলে মনে করছেন তারা।

এদিকে গেল ২ অক্টোবর বান্দরবানের পার্বত্য জেলা পরিষদ হল রুমে ৩নং ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন আ.লীগের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মো. নুরুল হোছাইন চৌধুরী কে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের নৌকার একক প্রার্থী ঘোষণা করেন বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বোর্ড।

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে বিভিন্নভাবে প্রচার-প্রচারণা। অন্য দলের তুলনায় আওয়ামী লীগের প্রচারণা এগিয়ে। আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠছে নেতাকর্মীরা। তবে এ নির্বাচন নিয়ে বিএনপি নেতাদের মধ্যে কোনো তোড়জোড় দেখা যাচ্ছে না। সংসদ নির্বাচনের পর থেকে এখানে বিএনপির নেতাকর্মীরা আরও কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন।

সূত্রে জানা যায়, আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীরা নির্বাচনী মাঠে কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছেন। ভোটারদের কাছেও আগাম ভোট ও দোয়া চাইছেন। সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রীয় মাধ্যম ফেসবুকেও চালাচ্ছেন প্রচার-প্রচারণা। দিচ্ছেন নানামুখি বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি।

অপরদিকে বিএনপি দলীয় সূত্র জানায়, এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী মাঠে নামেননি বিএনপি দলীয় চেয়ারম্যান-মেম্বার প্রার্থীরা। চুপচাপ রয়েছেন দলের হাই কমান্ড। তাই তৃণমূলের নেতাকর্মীরাও অনেকটা নিরব। তবে, ভেতরে ভেতরে দলীয় প্রার্থীরা এলাকায় প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে সেটা দলের সিদ্ধান্তের পরিপন্থী হবে বলে জানিয়েছেন লামা উপজেলা বিএনপির সেক্রেটারি মো. রুহুল আমিন।

এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সেক্রেটারি মো. জাবেদ রেজা বলেন, বর্তমান সরকার ও তাদের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের অধীনে দলীয়ভাবে আর কোনো নির্বাচনে যাবেন না বিএনপি। তবে ধানের শীষ প্রতীকে অংশ না নিলেও স্বতন্ত্রভাবে নেতারা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে সেক্ষেত্রে কাউকে দল থেকে শোকজ বা বহিষ্কার করা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটা তখন দেখা যাবে।

এদিকে বিএনপি সমর্থিত বর্তমান ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন মজুমদারে সাথে কথা বলে জানাগেছে, দলীয়ভাবে নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়ে কেন্দ্রীয় কোন সিদ্ধান্ত পাইনি। তবে, ইউপি নির্বাচনে আমি অংশ নেব। প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করবো,ভোট আদায়ের চেষ্টা করবো। পারিবারিক সিদ্ধান্ত মতে আমি প্রস্তুতি নিয়েছি। এলাকায় আমার প্রচুর সাপোর্ট রয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমি পুনঃ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবো।

একই কথা দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ না থাকলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন উপজেলার সরই ইউপির বিএনপি সমর্থিত বর্তমান চেয়ারম্যান মো. ফরিদুল আলম।

উল্লেখ্য যে-আগামী ১১ নভেম্বর’২১ ইং দ্বিতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বান্দরবান লামা উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন পরিষদে অনুষ্ঠিত হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours