বিপুল মিয়া,ফুলবাড়ী প্রতিনিধি :
কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার জিরো পয়েন্টে যানজট যেন নিত্যদিনের সঙ্গী ,জরুরী প্রয়োজনে বের হলেই যেন ভোগান্তির শেষ নেই। ফুটপাত দখল করে দোকানসহ যেখানে সেখানে গাড়ি পার্কিং প্রতিনিয়ত বাড়ছে যানজট। ফুলবাড়ী উপজেলা সদরে সিএনজি ও অটোবাইক স্ট্যান্ড না থাকায় সড়কেই যত্রতত্র গাড়িগুলো পার্ক করে রাখা হচ্ছে। ফলে উপজেলা সদরের ছোট শহর জুড়ে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট।
এতে প্রায়ই ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। অন্যদিকে শহরে বাসস্ট্যান্ড না থাকায় ঢাকাগামী নাইটকোচগুলো প্রধান সড়কেই সারিবেঁধে রাখা হচ্ছে। ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
এছাড়াও ফুলবাড়ীতে অবৈধভাবে ফুটপাত দখল, তীব্র যানজটে ভোগান্তিতে হাজারও মানুষ।
ফুলবাড়ী বাজারে অবৈধভাবে পাকা রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে দোকানপাট করার অভিযোগ উঠেছে। বাজারে তীব্র যানজট ও চলাচলের বিঘ্নতা ঘটায় (১৫ জুলাই) উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সাধারণ মানুষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাজারের জিড়ো পয়েন্ট থেকে খড়িবাড়ি বাজার রোডের দুইপাশে ফলমূলের দোকান সহ বিভিন্ন দোকান রয়েছে। সরকারি বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে রাস্তার দু’পাশে বড় বড় দোকানঘর উত্তোলন করে দোকানের সামনে পাকা রাস্তা দখল করে মালামাল সংরক্ষণ ও বিক্রয় করছেন। ফুটপাতে বড়বড় ঝুড়ি রেখে ফুটপাত দখলে নিয়েছেন দোকানদাররা।
একদিকে ফুটপাত দখল করে দোকানপাট, অপরদিকে রাস্তায় রিকশা, অটোরিকশা, অটোসহ বিভিন্ন যান দাঁড় করিয়ে রাখার ফলে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ পথচারীদের।
কয়েকজন পথচারীর সাথে কথা হলে তারা বলেন, ফুটপাত দোকানদারদের দখলে থাকায় প্রতিনিয়ত রিকশা-ভ্যান সহ বিভিন্ন ধরনের গাড়ি চলাচলে মারাত্মক যানজটের সৃষ্টি হয়। দোকানদারেরা বিভিন্ন প্রভাব খাটানোর কারণে কেউ কিছু বলার সাহস পায় না।
এছাড়াও সিএনজি-অটোবাইকে যাত্রী ওঠা-নামার জন্য নির্দিষ্ট কোনো স্ট্যান্ড না থাকায় প্রধান সড়কেই এসব যানবাহন পার্কিং করা হচ্ছে। চালকরা যেখানে-সেখানে যাত্রী ওঠা-নামা করাচ্ছেন। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা শহরের তিনকোণা মোড় (জিরোপয়েন্ট) থেকে কলেজ মোড় হয়ে সোনালী ব্যাংক, অন্যদিকে উপজেলা গেট ও খাদ্য গুদাম পর্যন্ত যাতায়াতের প্রধান সড়কের দুই পাশে রাখা হয়েছে অটোরিকশা,সিএনজি ,অটোবাইকসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন। প্রতিদিনেই ব্যস্ততম সড়কে সারিবদ্ধভাবে অটো-সিএনজি রাখার কারণে যানজট এখন নিত্য দিনের সঙ্গী।
জোবায়ের আলম জীবন,বাবু মিয়া, মাসুদসহ একাধিক ভুক্তভোগী জানান, জরুরি প্রয়োজনে উপজেলার ৬ ইউনিয়ন থেকে হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন উপজেলা সদরে আসে। সদরে নির্দিষ্ট সিএনজি ও অটোবাইকের স্ট্যান্ড না থাকায় এভাবেই মূল সড়কের দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে অটো-সিএনজিসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন রাখা হচ্ছে। এতে ইচ্ছেমতো যাত্রী ওঠানামাসহ সড়কেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ওঠানো কিংবা নামানোর কারণে দীর্ঘ যানজট লেগেই থাকে।
বণিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তাফা সরকার জানান, মূল সড়কে দীর্ঘ যানজটের কারণে উপজেলা সদরের দুই শতাধিক ব্যবসায়ীসহ হাজার হাজার মানুষ চরম ভোগান্তিতে। প্রশাসনকে জানানোর পরও সড়কের যানজট নিরসন হয়নি।
ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজীব কুমার রায় বলেন, ‘ফুলবাড়ী সদরের যানজট নিরসন করতে আমরা প্রায় অভিযান চালাই। সড়ককে যানজট মুক্ত করতে ইতোমধ্যেই কর্তৃপক্ষের কাছে ট্রাফিক পুলিশের জন্য আবেদন করা হয়েছে।’
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুমন দাস বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসন সদরের যানজট নিরসনে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে ট্রাফিক পুলিশের জন্য আবেদন করা হবে।
+ There are no comments
Add yours