ইউনুস আলী,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি ::
তিস্তা ও ধরলা নদীর ভাঙ্গনে ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদীর হাজারের বেশি বাসিন্দা।
বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। কিছু গ্রামের পর গ্রাম প্রতিদিন আবাদি জমি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। অনেকে ঘরবাড়ি নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত নদী ভাঙ্গনের ফলে মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু নেই ওখানকার বাসিন্দাদের।
যুগ যুগ ধরে চলতে থাকা নদীর ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পেতে স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবি স্থায়ী সমাধানের। কুড়িগ্রামের উন্নয়নে ও নদী ভাঙ্গন রোধে ‘কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের নদী সংলগ্ন কয়েকটি গ্রাম ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।ভাঙ্গন কবলিত পরিবার হাজি এবাদ আলী, ইদু দেওয়ানী সহ কতিপয় লোক জানান ভাঙ্গনের শিকার পরিবারের মাঝে আদৌ কোন ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছেনি।
নদী ভাঙ্গনের ফলে ভেঙ্গে যাওয়া ঘর, বাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিতে দেখা গেছে কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের।৭-নং ওয়ার্ডের (ইউপি মেম্বার)মোঃ জামাল উদ্দিন বলেন,আবাদি জমি বিলীন হয়ে যাচ্ছে।অনেকের ঘরবাড়ি নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।নদী ভাঙ্গনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক জিও ব্যাগ ফেলার কথা রয়েছে।ভাঙ্গনরোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
শনিবার সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়,কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদীর ভাঙ্গনে কয়েক শ’ পরিবার নিঃস্ব হয়েছেন।নদীর স্রোতে ভেঙ্গেই চলছে ব্রহ্মপুত্র নদীর আশপাশের বাসিন্দাদের বাড়ি, ঘর।পরিবার গুলো নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়েছেন।
বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ বেলাল হোসেন বলেন,বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের উত্তর ও দক্ষিণ বালা ডোবা কড্ডার মোড় মোল্লারহাট পুরাতন আকেল মাহমুদ গ্রামগুলোতে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায় তাদের বসতভিটা।
কৃষি জমি,বসতভিটা গাছ-গাছালি ব্রহ্মপুত্রর ভাঙ্গনে সবই নিমিষে শেষ হয়ে যায়। তিনি আরো বলেন, বসতভিটা বিলীন হওয়া ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলো যেনেও সহায়তা পায় তার জন্য আমি উপজেলার কর্মকর্তাদের জানিয়েছে।
উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র মুঠোফোনে জানান,আমি এই মাসে যোগদান করি বিষয়টি আমার জানা নেই জানার পর আপনাদেরকে জানানো হবে। তবে আমি পুরোপুরি চেষ্টা করব সে খতিগ্রস্ত পরিবার দের সহায়তা পাইয়ে দেয়ার জন্য।
+ There are no comments
Add yours