বিপুল মিয়া,ফুলবাড়ী প্রতিনিধি
সতীনের সংসার মানেই পরিবারে ঝগড়া লেগে থাকা। একজন অপরজনের যেন সহ্য করতে পারেন না। এ ঝগড়া এখন শুধু পরিবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। ছড়িয়ে গেছে নির্বাচনী মাঠেও।
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এমনই দেখা গেছে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা সদর ইউনিয়নের ৭,৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য পদের নির্বাচনে লড়ছেন দুই সতীন। তাঁরা হলেন চন্দ্রখানা বুদারবান্নি গ্ৰামের ফজলু আলী ওরফে ফজু কসাইয়ের প্রথম স্ত্রী আঙুর বেগম এবং তৃতীয় স্ত্রী জাহানারা বেগম। অবশ্য ফজু কসাইয়ের নাজমা নামের আরও একজন স্ত্রী রয়েছেন। প্রথম স্ত্রী আঙুরের পক্ষে স্বামী ও দ্বিতীয় স্ত্রী প্রচারে নামলেও তৃতীয় স্ত্রী জাহানারা একাই প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।
ফজলু কসাই বলেন, ‘আমার ও পাড়া প্রতিবেশীদের সমর্থন নিয়ে আঙুর ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাই আমি এবং এলাকাবাসী তাঁর জন্য ভোট চাচ্ছি। জাহানারাকে বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও আঙুরের বিরুদ্ধে লড়ছে।’
জাহানারা বলেন, ‘২০১৭ সালের ইউপি নির্বাচনে স্বামীর সমর্থন নিয়েই আমি প্রার্থী হয়েছিলাম। সেবার ভোটের লড়াইয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলাম। আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার সতিন স্বামীকে ফুসলিয়ে প্রার্থী হয়েছেন। চাপ দিচ্ছেন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে। তাতে আমি ভীত নই। জনগণ আমার সঙ্গে রয়েছেন। আমিই শেষ হাসি হাসব।’
গত শুক্রবার দুই সতীনই প্রতীক পেয়েছেন। বড় সতিন আঙুর পেয়েছেন কলম এবং জাহানারা পেয়েছেন তালগাছ।
স্থানীয়রা জানান, আগে থেকেই তিন স্ত্রীকে নিয়ে ফজলু কসাইয়ের দিনকাল ভালো যাচ্ছিল না। ঝগড়া বিবাদে বিপর্যস্ত হয়ে শেষ পর্যন্ত জাহানারাকে আলাদা বাড়িতে রেখে তিনি প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে আলাদা বাড়িতে বসবাস করছেন। এরপরও জাহানারা স্বামীর অমতে নির্বাচনে সতিনের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামায় ফজলু কসাই তাঁর প্রতি নাখোশ হয়েছেন।
আগামী ২৮ নভেম্বর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দুই সতিন ছাড়াও ওই সকল ওয়ার্ডে সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে আরেক আঙুর বেগম, নুরি বেগম এবং আনজুমা বেগম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
+ There are no comments
Add yours