মোঃ জয়নাল আবেদীন,সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি >>
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর একটি শহর।এই শহরের প্রতিটি গ্রাম এখনো পল্লী কবি জসীম উদ্দিনের কবিতার মত সুন্দর।
পর্যটন শিল্পে সীতাকুণ্ডের যেমন রয়েছে সুনাম অর্জন তেমনি এটিকে ঘিরে স্থানীয় দোকানদার ও চালকরা অর্থনৈতিকভাবে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে।সীতাকুণ্ডের ঐতিহ্যবাহী চন্দ্রনাথ পাহাড়,গুলিয়াখালি সমুদ্র সৈকত ও ইকোপার্ক ছাড়াও রয়েছে অসংখ্য প্রাকৃতিক অভয়ারণ্য।
একদিকে পাহাড় অন্যদিকে সমুদ্রের বিশাল জলরাশি যেদিকে চোখ যায় সেদিকেই চোখের পলক পড়ে যায় এই গভীর সৌন্দর্যের মোহে।সীতাকুণ্ডের পর্যটন শিল্পের মধ্যে সমুদ্র সৈকত কে ঘিরে রয়েছে পর্যটকদের অন্যরকম ভালোবাসা।
প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হয় লক্ষ লক্ষ প্রকৃতি প্রেমী।সন্ধ্যা নেমে আসার আগেই সূর্য মামার আলোয় আলোকিত করে সমুদ্র সৈকত এবং জ্বল জ্বল করে ঢেউয়ের কলতানে।
সীতাকুণ্ডের কুমিরা এলাকায় অবস্থিত আকিল পুর সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্যের বর্ণনা লিখে শেষ করা যাবে না।কেননা এখানে প্রকৃতির নানা বৈচিত্র্য আপনাকে নতুন করে ভাবতে শিখাবে।প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যে ভরপুর আকিল পুর সমুদ্র সৈকত পাশেই রয়েছে জাহাজ শিল্প।
দৃষ্টিনন্দন সমুদ্রের বাঁধ হিসেবে রয়েছে ছোট বড় পাথরের ব্লক।সৈকতে পর্যটকদের আনাগোনা দিন দিন বেড়েই চলেছে।কেউ আসছে পরিবার পরিজন নিয়ে,কেউবা বন্ধুদের নিয়ে।এছাড়া প্রেমিক প্রেমিকার যুগল ও দম্পতিদের সমুদ্র সৈকতের পাশে বসে বাদাম খেতে দেখা যায়।
রাস্তার মোড়ে মোড়ে রয়েছে ছোট ছোট টংয়ের অস্থায়ী দোকান।বিশাল আয়তনের এই সমুদ্র সৈকতে অনায়াসে ঘুরতে ফিরতে পারবেন নেই কোন টিকেট ব্যবস্থা।
তবে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার পূর্বেই আপনার উচিত হবে সমুদ্র সৈকত ত্যাগ করা।নিজ নিরাপত্তার স্বার্থে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করার পাশাপাশি সৈকত পয়েন্টের বাইরে না যাওয়াই উত্তম।
কিভাবে আকিল পুর সমুদ্র সৈকত আসবেন প্রশ্নটি রয়ে গেল দূর দূরান্ত পর্যটকদের! বাংলাদেশ যে কোন জেলা থেকে এখানে আসতে চাইলে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ছোট কুমিরা বাজারে নামতে হবে।
ছোট কুমিরা বাজার হতে সিএনজি যোগে প্রতিজন ১০ টাকা ভাড়ায় আকিল পুর সমুদ্র সৈকত সহজেই আসতে পারবেন।আকিল পুর সমুদ্র সৈকতের আসার পূর্বেই সিএনজিতে পরপর ধাক্কা খেয়ে যেতে হবে কেননা এখানকার সড়কের পরিস্থিতি নাজুক।
+ There are no comments
Add yours