নাইক্ষ্যংছড়িতে পাহাড় কাটার মহোৎসব দেখার কেউ নেই

Estimated read time 1 min read
Ad1

নিজস্ব প্রতিনিধি >>

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ বিছামারা এলাকায়।চলছে পাহাড় কাটার মহোৎসব দেখার কেউ নেই। পাহাড় খেকো স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি হযরত আলীর ছেলে সামশুল আলম, মো. হোসেন এর নেতৃত্বে পরিবেশ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে পাহাড় কেটে সাবাড় করছে। ফলে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য।

সরকারি খাস দখলিয় অন্যের সম্পত্তি জবর দখলের কু-মানসে ওই এলাকায় পাহাড় কাটা অব্যাহত রেখেছে তারা। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় সদর ইউনিয়নের বিছামারা ২নং ওয়ার্ডের প্রভাবশালী সামশুল আলম সরকারি সম্পত্তি বেহাত করে বসতবাড়ি নির্মাণের জন্য পাহাড়ের চওড়া সমতলে পরিণত করতে এ মাটি কাটার কাজ অব্যাহত রাখে।

অপরদিকে একই এলাকার মাহাছান ঘোনা নামক স্থানে মো. হোসেনও (প্রকাশ কেলা মাছন) ঐ এলাকায় বসতি স্থাপনের জন্য বিশাল পাহাড় কাটছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এলাকার আব্দুর রহিমসহ অনেকে জানান, কয়েক বছর আগে ঐ জায়গায় তিনি বসতি স্থাপন করেন সামশুল আলম।

পাহাড়ে তার বসতির আয়তন বাড়াতে এ পাহাড়ের মাটি কাটার কাজ বাস্তবায়ন করছে। একই অভিযোগ মো. হোসেনের জন্যও। সামশুল আলম ও মো. হোসেনের সাবাড় করা পাহাড় ওই এলাকার সর্বোচ্চ পাহাড়।

তারা পাহাড়ে বসবাস উপযোগী করতে এ ভূমিদস্যু চক্রের হোতাদের কু-দৃষ্টি পড়ে এ দুই পাহাড়ে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি জানায়, সামশুল আলম এবং মো. হোসেন সরকারি জায়গা নিয়ন্ত্রণ করে মিয়ানমারের লোকসহ বিভিন্ন জনকে বিক্রি করারও অভিযোগ রয়েছে।

তারা পাহাড়ের চওড়া বিলীন করে সমতল ভূমি তৈরি করায় পাশ্ববর্তী বাড়ি গুলো ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে হতে পরে দূর্ঘটনা।

মাটি কাটার সাথে জড়িত সামশুল আলম জানায়, পাহাড় কাটা মারাত্মক অন্যায় কাজ। এরপরও সে জেনে-শুনে অন্যায় করছেন তিনি এজন্য বাড়িটি একটু নিচু করে করার জন্য।এ দুুই ব্যক্তি গত এক মাস যাবৎ পাহাড় কাটছে এবং পাহাড়ের চওড়া সমতল করেছে।

স্থানীয় পরিবেশবাদী মহলের মতে এভাবে রাত দিন পাহাড় কাটা অব্যাহত থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছেন না প্রশাসন। স্থানীয়রা পরিবেশ বিধ্বংসী কাজ পাহাড় কাটার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে দায়ী করছেন। প্রশাসন দেখলেও না দেখার ভান করে আছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পাহাড় কাটায় নিয়োজিত সামশুল আলম বলেন, আমি বাড়ি করার জন্য মাটি কাটছি। এ জায়গায় আমরা বসবাস করি।বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বুঝাপড়া হয়েছে। মো. হোসেনেরও একই বক্তব্য।

অপরদিকে বাইশারী লম্বাবিল এলাকায় আব্দুল জব্বার পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করছে দিনরাত ট্রাক, পিকাপ দিয়ে বিষয়টি ইউএনও অবগত আছেন।

এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন চেয়ারম্যানকে বল হবে কোন স্থানে পাহাড় কাটছে সেটি চিহ্নিত করব। অবশ্যই আইনের আওতায় এনে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাহাড় খেকোদের কাউকে ছাড় দেওয়া যাবে না।

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours