ফুলবাড়ীতে ইউপি নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ভড়াডুবি

Estimated read time 1 min read
Ad1

বিপুল মিয়া, ফুলবাড়ী প্রতিনিধি >>

তৃতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ৬ ইউনিয়নের মধ্যে ৪ টিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা ও ২ টিতে আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী (মটরসাইকেল প্রতীক)চেয়ারম্যান পদে বেসরকারি বিজয়ী হলেও বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির ভড়াডুবি হয়েছে। ফুলবাড়ীতে ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টিতে জাতীয় পার্টির প্রার্থী দিলেও নাওডাঙ্গা ও শিমুলবাড়ীতে প্রার্থী দিতে পারেনি।

২৬ কুড়িগ্রাম-২ আসনের দেশের অন্যতম প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির হলেও , এবার ইউপি নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে মুখ ফিরে নিয়েছে সাধারণ মানুষ‌।এমন ভড়াডুবি তে হতাশ নেতা-কর্মীরা। সবকয়টি ইউনিয়নে‌ বিশাল ব্যবধানে হেরেছে জাতীয় পার্টি।

২৮ নভেম্বর সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহন শেষে রাতে চেয়ারম্যান পদের ফলাফল ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মমিনুর আলম ও উপজেলা প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা(সহকারী রিটার্নিং অফিসার) ডাঃ কৃষ্ণ মোহন হালদার।

উপজেলার ১নং নাওডাঙ্গা ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে হাছেন আলী ৬৪১৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি মুসাব্বের আলী মুসা (স্বতন্ত্র) আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৪৯৫২ ভোট।

২ নং শিমুলবাড়ী ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফুল আলম সোহেল মোটর সাইকেল প্রতীকে ৫৯২৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি এজাহার আলী নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৫৬৫৪ ভোট।

৩ নং ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়ন নৌকার প্রার্থী হারুন অর রশীদ হারুন ১২৭৬৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দি জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকে মইনুল হক পেয়েছেন ১০৪৯১ ভোট।

৪নং বড়ভিটা ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী আতাউর রহমান মিন্টু ৮১২৯ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দি জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী মুজিবর রহমান লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৪৩৬৩ ভোট।

৫ নং ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী মোহাম্মদ আলী শেখ ৭১১৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি আল মামুন সুজন পেয়েছেন ৫৭৪৫ ভোট।

৬ নং কাশিপুর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুজ্জামান মানিক মোটরসাইকেল প্রতীকে ৭৭৩৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দি রেয়াজুল ইসলাম নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৭৫৮৯ ভোট। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত হাতপাখা প্রতীকে নিয়ে পেয়েছেন ২৮৫৮ ভোট এবং জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ১৮২৬ ভোট।

তরুন ভোটারদের সাথে কথা বললে, তারা জানান আমরা উন্নয়নে বিশ্বাসী গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রর্থী ভোটের আগে নানান প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি কোনটি। আমাদের সংসদীয় আসনে আঃলীগের সংসদ সদস্য ও উপজেলা পরিষদেও নৌকার চেয়ারম্যান না থাকলেও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী সব সময় সাধারন মানুষের পাশে থাকে।

আর আমাদের দেখা যা উন্নয়ন তা আঃলীগ সরকারেই করছে জাপার মতো তারা ভোটের রাজনীতি করেনা। তাই তরুনদের ভোট উন্নয়নের পক্ষে দিয়েছে।তৃতীয় ধাপে ইউপি নির্বাচনে ফুলবাড়ীতে ৬ টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪ টি ইউনিয়নে জাতীয় পার্টির প্রর্থী দিলে বিশাল ব্যাবধানে হেরে যায়।

এ বিষয়ে ফুলবাড়ী উপজেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক হারুন অর রশিদ’র সাথে কথা বললে তিনি জানান, ইউপি নির্বাচনে কাদের প্রার্থীদের দূর্বলতা ও মাঠ পর্যায়ে নেতাকর্মীদের সক্রিয় না থাকায় সাধারণ জনগণের কাছে তারা যেতে পারেনি, যার কারণে তৃতীয় ধাপে ইউপি নির্বাচনে সব কয়টি ইউনিয়নে পরাজয় হয়েছে। নির্বাচনে পরাজয়ের কারন হিসেবে তিনি নেতাকর্মীদের দায়ী করেন।

ফুলবাড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তৌকির হাসান তমাল বলেন, জাতীয় পার্টির ভোটের রাজনীতি করে, তাদের নেতাকর্মীদের ভোটের সময় দেখা যায়। তারা নির্বাচনের সময় অতিথি পাখির মত আসে, ভোটের পরে আবার অতিথি পাখির মত চলে যায়। তাই জনগণ তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ভোটের রাজনীতি করেনা, সাধারণ মানুষের সুখে দুঃখে সবসময় পাশে ছিল এবং থাকে, জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা’র উন্নয়নের ছোয়া প্রতন্ত্য ফুলবাড়ির মতো অবহেলিত উপজেলায় রোল মডেল করেছে।

আওয়ামীলীগ ভোটের আগে ও পরেও সাধারন মানুষের পাশে থাকে। সাধারন জনগণ সব বোঝে কে উন্নয়ন করে আর কে নিজের ব্যাংক ব্যালেন্স তৈরি করে, তাই উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখতে সাধারণ মানুষ নৌকায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করছে

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours