জালিয়াতির মাধ্যমে শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগের অভিযোগে মাদ্রাসার সুপার-সভাপতি কারাগারে

Estimated read time 1 min read
Ad1

বিপুল মিয়া ফুলবাড়ী প্রতিনিধি ::

জালিয়াতির মাধ্যমে শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ীর বিলুপ্ত ছিটমহল দাশিয়ারছড়ার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপার শাহনুর আলম ও ভুয়া সভাপতি আব্দুল খালেকের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সামবার কুড়িগ্রাম চিফ জুডিসিয়াল মেজিস্ট্রেট আদালতের জুডিসিয়াল মেজিস্ট্রেট সুমন আলী এ আদেশ দেন।

শাহনুর আলম ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের অনন্তপুর ঘুঘুরহাট গ্রামের ময়েন উদ্দিনের ছেলে ও আব্দুল খালেক দাশিয়ারছড়ার মৃত আজগার আলীর ছেলে বলে জানা গেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মাদ্রাসার সহকারী সুপার পদে থেকে শাহনুর আলম নিজেকে সুপার এবং আব্দুল খালেককে সভাপতি দেখিয়ে মাদ্রাসা সুপার আমিনুল ইসলাম মিয়া ও সভাপতি আ. রহমান মিয়ার অজান্তে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ দেন।

বিষয়টি জানতে পেরে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দুর রহমান মিয়া চলতি বছরের জুন মাসে রশানু আলম ও আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে জালিয়াতি অভিযোগ এনে মামলা করেন।

আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা হওয়ার পর সোমবার অভিযুক্ত সহকারী সুপার শাহনুর আলম ও ‘ভুয়াসভাপতি’আব্দুল খালেক আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা দাখিল মাদ্রাসার সুপার আমিনুল ইসলাম মিয়া জানান, শাহনুর আলম সহকারী সুপার হলেও নিজেকে সুপার এবং আব্দুল খালেককে ভুয়া সভাপতি দেখিয়ে যোগসাজসে প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে সেসব কাগজ পত্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেন।

পরে বিষয়টি জানতে পেরে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আ.রহমান মিয়া বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পান। জালিয়াতি সাথে যুক্ত থাকায় আদালত তাদেরকে সোমবার কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

মাদ্রাসার সুপার আমিনুল ইসলাম মিয়া বলেন, ‘আমি সুপার পদে এবং মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আ. রহমান নিজে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হলেও সহকারী সুপার শাহনুর আলম নিজেকে সুপার এবং আব্দুল খালেককে ভুয়া সভাপতি দেখিয়ে ভুয়া সিল বানিয়ে প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছেন।যা অবৈধ এবং প্রতারণার শামিল।

এ প্রসঙ্গে আদালতের বেঞ্চ সহকারী হারুন অর রশীদ জানান, আদালতের নির্দেশে অভিযুক্তদের কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ছিটমহল বিনিময়ের পরপরই ২০১৫ সালে দাশিয়ারছড়ার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা দাখিল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়।পরে ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে এটি সরকারি ঘোষণা করা হয়।

বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে ২৯ জন শিক্ষক-কর্মচারী বৈধ নিয়োগে কর্মরত আছেন বলে প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে। তবে শিক্ষক কর্মচারীরা এখনও মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার (এমপিও) পাননি।

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours