সন্ত্রাসী সন্তানের বিরুদ্ধে এক অসহায় মায়ের আর্তি

Estimated read time 1 min read
Ad1

সাদমান সময় মিরসরাই প্রতিনিধি ::

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের একসময়কার চিহ্নিত শিবির ক্যাডার নাশকতা মামলার আসামী এছানুল হকের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে তার পরিবার ও স্বয়ং তার গর্ভধারিনী মা।

ষাট বছর বয়সী বৃদ্ধ মা জোৎ আরা বেগমের আকুতি, তাঁর মেঝ ছেলে শিবির ক্যাডার এছানুল কয়েক বছর আগে এক সন্তানকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে পঙ্গু করেছে বর্তমানে অন্য চার সন্তানকেও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে।তিনি তাঁর সন্তানদের বাঁচাতে থানা পুলিশের কাছে ধরণা দিয়েও কোন প্রতিকার পাননি।

গতকাল বুধবার বিকালে মিরসরাই প্রেস ক্লাবে উপস্থিত হয়ে জোৎ¯œা আরা বেগম অভিযোগ করেন, ২০১০ সালে এহছান তার আপন ছোট ভাই ইসমাঈলকে চাইনজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। পরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) নিয়ে চিকিৎসার পর প্রাণে বাঁচলেও বর্তমানে সে পঙ্গু জীবনযাপন করছে।

চলতি বছর আরেক ছোট ভাই আব্দুল মান্নানকে খাবারের সাথে বিষ মিশিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। পরে সে প্রাণে বাঁচলেও বর্তমানে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে জীবন যাপন করছে। সর্বশেষ গত ৩ ডিসেম্বর রাতে ১৫-২০ জন সন্ত্রাসী নিয়ে এহছান নিজের বাড়িতে হামলা চালায়।

এসময় তার দুই ছোট ভাই দৈনিক ইত্তেফাকের মিরসরাই প্রতিনিধি মোহাম্মদ ইউসুপ ও কামরুল জামানের ওপর হামলা চালায়। একই সময় পরিবারের বড় সন্তান রেজাউল করিমের ওপরও হামলা হয়।

অবশ্য মায়ের এতসব অভিযোগ অস্বীকার করে এহছানুল হক বলেন, ‘এসব মিথ্যা ও বানোয়াট গল্প। উল্টো আমার ওপর জুলুম হচ্ছে। আমার মা যদি এসব বলে আপনারা যা খুশি তা করেন।’

এদিকে গত ৩ ডিসেম্বর হামলার ঘটনায় পরিবারের তরফ থেকে কেউ থানায় মামলা না করলেও মেঝ ছেলে এহসান উল্টো নিজের ভাইদের বিরুদ্ধে স্থানীয় জোরারগঞ্জ থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ অভিযোগ আকারে এটি গ্রহণ করে। পরবর্তীতে এহছানের মা অভিযোগ দিতে গেলে তা সাধারণ ডায়েরি হিসেবে অর্ন্তভূক্ত করে।

এ বিষয়ে কথা বলতে গতকাল বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জোরারগঞ্জ থানার ওসি নূর হোসেন মামুনকে ফোন দিলে তিনি তা রিসিভ করেন নি।

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours