মাসুম বিল্লাহ:
উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় >>
র্যাগিং শব্দটির সাথে অনেকেই বেশ পরিচিত আবার কেউ কেউ বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরুতেই পরিচিতি লাভ করে।র্যাগিং শব্দটির অর্থ-” পরিচিত হওয়া” অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়রদের সাথে জুনিয়রদের আনুষ্ঠানিক পরিচয় পর্বকেই বোঝায়।র্যাগিং শব্দটির আরো
বেশ কয়েকটি অর্থ আছে যেমন -তিরস্কার করা,আবেগে কিছু বলা,দিক নির্দেশনা প্রদান করা ইত্যাদি।
বিশ্ববিদ্যালয় একটি জ্ঞান চর্চার জায়গা,এখানে পড়াশোনা করলে বিশ্বটা কি? তা খুব ভালো করেই জানা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে কমবেশি দেশের সব জেলারই ছাত্রের আগমন ঘটে।ফলে দেশের সব অঞ্চলের মানুষের আচরন,চাহিদা, ভালো মন্দ সব কিছুই জানা যায়।
এড়াছা বিদেশি শিক্ষার্থীদের আগমন বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনকে মুখরিত করে। বাংলাদেশে প্রায় প্রতিটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ গুলোতে র্যাগিং কথাটি বেশ পরিচিত।অনেকে এটিকে পজিটিভ নিলেও বর্তমান সময়ের সাথে পরিবর্তিত র্যাগিংকে অনেকে পজিটিভ নিচ্ছে না।বর্তমান র্যাগিং এর আচরণ পরিবর্তন করতে করতে চরম পর্যায়ে পৌছে গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র সব শিক্ষার্থীরাই র্যাগ দেয় না,কিছু সিনিয়র আছে যারা মজা নিতে কিংবা নতুন শিক্ষার্থীদের দিক নির্দেশনা দিতে র্যাগ দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা নতুন ভর্তি হয় মুলত তারাই এর ভুক্তভোগী। সাধারণত মেয়েদের তুলনায় ছেলেরা একটু বেশিই র্যাগ দেয়। নিজ বিভাগ,অনুষদ কিংবা নিজ হলের মধ্যে এসব ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে র্যাগ হচ্ছে – সিনিয়র ও জুনিয়র পরিচয় পর্ব,গান গাওয়া,নাচ,কবিতা আবৃতি,সিনিয়র আপুদের প্রপোজ, রোদে দাঁড়িয়ে থাকা, এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকা,গোপন অঙ্গের ছবি ও সাইজ অঙ্কন,বিভিন্ন ভঙ্গিতে কথা বলা,সিগারেট নিয়ে আসা ও বিভিন্নভাবে টর্চার করা।
দুঃখজনক হলেও সত্য যে অনেক ছেলে জুনিয়রের প্যান্ট পর্যন্ত খোলতে বলা হয় যা র্যাগিং কে ছাড়িয়ে শ্লীলতাহানিকেই প্রশ্রয় দেয়। মাঝে মাঝে যৌথ ভাবে ঘটানো হয় শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন। নবীনদের আচরণ শেখানোর নামে টর্চার করা মোটেই কাম্য নয়।
চলমান…..
+ There are no comments
Add yours