সীতাকুণ্ডে হুমকির মুখে সমুদ্র উপকূলীয় পরিবেশ

Estimated read time 1 min read
Ad1

মোঃ জয়নাল আবেদীন,সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি ::

সীতাকুণ্ডে উদ্ভিদ ও জীববৈচিত্র্য হুমকির সম্মুখীন।সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন বেড়ে যাওয়ায় ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়ের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সীতাকুন্ডের বাড়বকুণ্ড,মুরাদপুর ও বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের প্রতিযোগিতায় নেমেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ক্যাপিটাল প্রেট্রোলিয়াম ও এনবি স্টিল সহ কয়েকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বেড়ে যাওয়ায় সমুদ্র উপকূল মারাত্মক অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।দিন দুপুরে স্থানীয় প্রভাবশালী ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের এহেন আচরণে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে স্থানীয়রা।

ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করার ফলে সমুদ্র গভীর গর্ত সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি প্রাকৃতিক অভয়ারণ্য বিলুপ্ত হওয়ার মুখে।সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলে বন ও চরাঞ্চল ধ্বংসের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিশাল ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা যেতে পারে।

স্থানীয়রা জানান, সমুদ্র থেকে বালু উত্তোলন করার ফলে সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চল ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে।স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দানবের ভূমিকায় প্রকৃতি ধ্বংসে উঠে পড়ে লেগেছে।ধ্বংসলীলা এভাবে চলতে থাকলে আমাদের দুর্ভোগের সীমা থাকবেনা।

 

প্রকৃতি ফুঁসে উঠলে কারো রক্ষা নেই। প্রশাসনের নাকের ডগায় তেল দিয়ে এভাবে জিববৈচিত্র্য বিলিন করা চলতে থাকলে অচিরেই সীতাকুণ্ড গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত সহ হুমকির বিরাট হুমকির মুখে পড়বে সীতাকুণ্ড সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চল।এছাড়া বন উজাড় ও সমুদ্র তীরবর্তী ভাঙ্গার ফলে জোয়ারে পানিতে প্লাবিত হবে গ্রাম।

উপকূলীয় বন বিভাগের কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান,সরকারী খাস জমিতে মাউন্ট বাগান গড়ে তুলতে জিব বৈচিত্র্য রক্ষায় নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ।পরিবেশ ভারসাম্য ও উপকূল রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে উপকূলীয় বন অঞ্চল।

বালু উত্তোলনের মাধ্যমে বন ও চরাঞ্চল ধ্বংসের চেষ্টা চলছে।বালু উত্তোলন বন্ধে বাড়বকুণ্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে কেটে দেয়া হয়েছে বালু উত্তোলন পাইপ।

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours