চট্টগ্রাম প্রতিনিধি ::
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের ৭ং দোয়াজিপাড়া এলাকায় দিন দিন মারামারি,সংঘাত এবং উচ্ছৃঙ্খল কর্মকাণ্ড বেড়েই চলেছে।হামলা মামলা এবং কোপাকোপির ঘটনা যেখানে নিত্যদিনের কর্মকাণ্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে।তারই ধারাবাহিকতায় ৪ নং মুরাদ পুর ইউনিয়নের ছাত্রলীগ সভাপতি রেহান উদ্দিনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ উঠে এসেছে।
এছাড়া পূর্বে রেহান উদ্দিনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থাকলেও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় পার পেয়ে আবারো নতুন করে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে বলে জানান হামলার শিকার হওয়া ভুক্তভোগী নিরীহ পরিবার।
মামলার বাদীনীর বিষয়টি আমলে নিয়ে সীতাকুণ্ড থানাকে দুই দিনের মধ্যে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ায় নির্দেশ দেন আদালত।ঘটনার দিন অতিবাহিত হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে আসামীরা।উক্ত বিষয়ে সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাব ভবনে ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ইং সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী পরিবার।
চট্টগ্রাম চীপ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চট্টগ্রাম আদালতে সি. আর. মামলা নং ৭৯/২০২২ (সীতাকুণ্ড) সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদী খালেদা বেগম (৪০),স্বামী মোঃ জয়নাল আবেদীন।সাং মুরাদ পুর দোয়াজিপাড়া,৭ং ওয়ার্ড।
এবং অভিযুক্তরা একি ইউনিয়নের মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক এর পুত্র মোঃ রেহান উদ্দিন(৩৫),মৃত শাহ আলমের পুত্র শেখ ফরিদ(৩০),মৃত নুর আফসার এর পুত্র মোঃকামাল (৩২), আবুল মোতালেব এর পুত্র ইকরাম হোসেন (২৯) সর্বশেষ মামলার ৬নং আসামী আবু তাহের এর পুত্র আলী হোসেন সহ অজ্ঞাত আরো ১০/১৫ জন আসামীর নাম রয়েছে।
প্রথম ঘটনার তারিখ ও স্থান ৭/২/২০২২ দুপুর ২ ঘটিকার সময়,সীতাকুণ্ড থানার মগপুকুরস্থ এলাকার ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের মধ্যে। সর্বশেষ ঘটনার তারিখ ও সময়,৭/২/২০২২ ইং দুপুর ২ ঘটিকায়, সীতাকুণ্ড থানার মুরাদ পুর এলাকার ল্যাংটা পুলের উপর।
মামলার বাদীনী একজন সহজ,সরল ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মানুষ।পক্ষান্তরে আসামীগণ পরস্পর দলবদ্ধ,হাঙ্গামা প্রিয় ও জুলুমবাজ,ভূমিদস্যু,চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক হয়।আসামীগণ ধন ও জনবলে বলিয়ান বিধায় ধরাকে সরা জ্ঞান করে।
দেশের প্রচলিত আইন কানুনের উপর মোটেও আসামীগণ শ্রদ্ধাশীল নন।সন্ত্রাস ও গায়ের জোরে দেশের প্রচলিত আইন ভঙ্গ করে আসামীগণ মোটেও দ্বিধাবোধ করেনা।পরের সম্পদ কুক্ষিগত ও চাঁদাবাজি করা তাদের নেশা।
বাদীনীর ১ম ছেলে ১নং ভিকটিম অপু ইসলাম ও ২নং ভিকটিম একসাথে প্রথম ঘটনার তারিখ ও সময়ে তার কর্মস্থল হতে বাড়িতে ফেরার সময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ছুরি দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে মুখে আঘাত করিলে ভিকটিম গুরুত্বর জখম হয়।
এসময় ১নং ভিকটিম ২ নং ভিকটিমকে উদ্ধার করতে আসিলে অপরাপর আসামীগণ জোর পূর্বক একটি কালো হাইছ গাড়িতে তুলে অপহরণ করে সর্বশেষ ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে ধারালো কিরিচ দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ দিলে ভিকটিম সরে গেলে, ভিকটিমের কপালে মারাত্মক রক্তকাটা জখম হয়।
১নং আসামী মোঃ রেহান উদ্দিন তার হাতে থাকা প্লাস দ্বারা ভিকটিমের ডান হাতের কনিষ্ঠ আঙ্গুলের নখ তুলিয়া ফেলে।২নং আসামী লোহার রড দিয়ে ভিকটিমের উভয় পায়ে আঘাত করিলে ভিকটিমের পায়ে হাড় ভাঙা জখম হয়।৩নং আসামী তাহার হাতে থাকা কিরিচ দিয়ে কোপ মারিলে ভিক্টিমের কানের ডানপাশে মাথার পিছনের অংশ রক্তাক্ত কাটা জখম হয়।
৪নং আসামী লোহার রড দিয়ে ভিকটিমের ডান হাতের কব্জির হাড় ভেঙে দেয়।এভাবে একে একে অন্য আসামিরা ঝাঁপিয়ে পড়ে।গুরুতর হামলার শিকার ১নং ভিকটিম কে স্বাক্ষিগণ চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।২নং ভিকটিমকে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
+ There are no comments
Add yours