ডেস্ক নিউজ
নাটোরে সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হযরত আলীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বুধবার রাতে জেলার লালপুর উপজেলার খাগড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় র্যাব।
র্যাব জানায়, মামলা দায়েরের পর থেকে পলাতক ছিলেন হযরত আলী। পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ভুক্তভোঘী পরিবারের অভিযোগ, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সপ্তম শ্রেনীর ওই ছাত্রীকে উপবৃত্তির কাগজপত্র সংশোধনের জন্য ডেকে আনেন এই শিক্ষক। পরে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে তিনি।
বিষয়টি পরিবার জানার পর মান সম্মানের কথা চিন্তা করে প্রথমে গোপন রাখে। পরে গত ৬ মার্চ ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বাদী হয়ে হযরত আলীর বিরুদ্ধে বড়াইগ্রাম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
মামলায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা অভিযোগ করেন, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টায় বড়াইগ্রাম উপজেলার দাসগ্রাম ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হযরত আলী (৬০) একই মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া দুজন ছাত্রীকে কাগজপত্রের ভুল ঠিক করার জন্য মাদ্রাসায় ডাকে।
ছাত্রীরা মাদ্রাসায় গেলে তাদেরকে নিজ অফিস কক্ষে ডেকে একজন ছাত্রীকে ১০০ টাকা দিয়ে দোকানে পাঠান এবং দরজা বন্ধ করে অপর ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে ভিকটিম চিৎকার করলে তিনজন ছেলে জানালা দিয়ে দেখে ফেললে অধ্যক্ষ ওই ছাত্রীকে ছেড়ে দেয়। ভিকটিম ও তার পরিবারের লোকজন সামাজিক মর্যাদা ও মান সম্মানের কথা চিন্তা করে বিষয়টি চেপে রাখলেও পরবর্তীতে বিষয়টি প্রকাশ হয়। এরপর ভিকটিমের মা বাদী হয়ে অভিযুক্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বড়াইগ্রাম থানায় মামলা দায়ের করেন।
এরপর থেকে পলাতক ছিলেন অভিযুক্ত অধ্যক্ষ হযরত আলী। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের উদ্দেশে গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করে র্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রাতে লালপুর থানা এলাকা থেকে হযরত আলীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় র্যাব।
+ There are no comments
Add yours