অনলাইন ডেস্ক
ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে রকেট হামলায় নিহত এমভি বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজের নাবিক থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মাদ হাদিসুর রহমানের মরদেহ ইউক্রেন থেকে রোমানিয়া নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। শুক্রবার (১১ মার্চ) বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ১১টায় মলদোভার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে হাদিসুরের মরদেহবাহী ফ্রিজারভ্যান।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএমওএ) সাধারণ সম্পাদক মেরিন ইঞ্জিনিয়ার মো. সাখাওয়াত হোসাইন জানিয়েছেন, শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টায় হাদিসুরের লাশ রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্টে পৌঁছাবে। তবে হাদিসুরের মরদেহ কবে নাগাদ বাংলাদেশে আসবে, সে বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি।
তিনি বলেন, হাদিসুরের মরদেহ রোমানিয়ায় পাঠানোর সব দাপ্তরিক প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবারই মরদেহবাহী কফিনটি রোমানিয়ার উদ্দেশে যেতে পারত। তবে রোমানিয়া কর্তৃপক্ষের চাওয়া হাদিসুরের পরিবারের সম্মতিপত্র বাংলাদেশ থেকে পাঠানোর পর মরদেহবাহী কফিনটি রোমানিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করে।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হলে ২৯ জন ক্রু নিয়ে অলভিয়া বন্দরে আটকা পড়ে এমভি বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজটি। পরে গত ২ মার্চ রকেট হামলায় মারা যান হাদিসুর রহমান। পরে অন্য ২৮ জনকে বৃহস্পতিবার জাহাজটি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
এরপর হাদিসুরের মরদেহ ও বেঁচে যাওয়া ২৮ নাবিককে একটি আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সহযোগিতায় উদ্ধার করা হয়। শনিবার (৫ মার্চ) বাংলাদেশ সময় দুপুরে ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দর সংলগ্ন বাংকার (শেল্টার হাউজ) থেকে বেরিয়ে মালদোভার পথে যাত্রা শুরু করেন ২৮ নাবিক।
পরদিন রোববার (৬ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে তারা ইউক্রেন সীমান্ত পেরিয়ে মালদোভা হয়ে দুপুরের পর রোমানিয়া পৌঁছান। বুধবার ২৮ নাবিক রোমানিয়ার বুখারেস্ট বিমানবন্দর থেকে তার্কিশ এয়ারের একটি ফ্লাইটে ইস্তাম্বুল হয়ে ঢাকায় ফেরেন
+ There are no comments
Add yours