বিশ্বজুড়ে আবারও কোভিড-১৯ এর সংক্রমণের হার বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে ডব্লিউএইচও

Estimated read time 1 min read
Ad1

 

খবর বাংলা ডেস্ক

জাতিসংঘের এ সংস্থা বলেছে, অনেক দেশে নমুনা পরীক্ষা কমে যাওয়ার কারণে বড় ধরনের সংকট দেখা দিতে পারে। তাই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে সব দেশকেই।

রয়টার্স জানিয়েছে, কয়েক মাস ধরে সংক্রমণের হার কমে আসার পর গত সপ্তাহ থেকে বিশ্বজুড়ে আবার তা বাড়তে শুরু করেছে। বিশেষ করে চীনের জিলিন প্রদেশে সংক্রমণ রোধে লকডাউন জারির ঘটনাও ডব্লিউএইচওর পক্ষ থেকে তুলে ধরা হয়েছে।

ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, সংক্রমণের হার বাড়ার পেছনে উচ্চ সংক্রমণশীল ওমিক্রন ধরন এবং এর বিএ.২ উপধরনটির ভূমিকা আছে। এছাড়া জনস্বাস্থ্য ও সামাজিক মেলামেশার বিভিন্ন বিধিনিষেধ শিথিলের কারণেও আক্রান্ত বাড়ছে।

ডব্লিউএইচওর প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস সাংবাদিকদের বলেন, “কিছু দেশে নমুনা পরীক্ষা কমিয়ে দেওয়ার পরেও সংক্রমণের হার বাড়ছে, যার অর্থ হচ্ছে আমরা আসলে একটি হিমবাহের চূড়াটুকুই দেখতে পাচ্ছি।”

সংস্থার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কিছু দেশে টিকাদানের হারও কম, যার সঙ্গে বিপুল পরিমাণ ‘বিভ্রান্তিকর তথ্য’ যুক্ত হয়েছে।

ডব্লিউএইচওর হিসাবে, বিশ্বজুড়ে মার্চের ৭ থেকে ১৩ তারিখের মধ্যে নতুন রোগী বেড়েছে আগের সপ্তাহের চেয়ে ৮ শতাংশ, নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে এক কোটি ১০ লাখ মানুষ এবং মৃত্যু হয়েছে ৪৩ হাজারের বেশি মানুষের। জানুয়ারির শেষভাগ থেকে এ সপ্তাহেই প্রথম সংক্রমণ বাড়ল।

সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি বেড়েছে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে, যেখানে দক্ষিণ কোরিয়া ও চীন রয়েছে। ওই অঞ্চলে আক্রান্তের হার ২৫ শতাংশ ও মৃত্যুর হার ২৭ শতাংশ বেড়েছে। আফ্রিকায় এই হার বেড়েছে যথাক্রমে ১২ ও ১৪ শতাংশ। ইউরোপে আক্রান্তের হার ২ শতাংশ বাড়লেও মৃত্যুহার বাড়েনি।

অন্যান্য অঞ্চলে অবশ্য নতুন আক্রান্তের সংখ্যা এখনও পড়তির দিকে।

কয়েকজন বিশেষজ্ঞ ইউরোপে সংক্রমণের নতুন ঢেউয়ের আশঙ্কা করছেন। বিশেষ করে মার্চের শুরু থেকে অস্ট্রিয়া, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস ও যুক্তরাজ্যে আক্রান্ত বাড়ায় তারা এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

ডব্লিউএইচওর মারিয়া ফন কেরকভ বলেন, এ পর্যন্ত বিএ.২ কেই সবচেয়ে বেশি সংক্রামক ধরন হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।

যদিও, এমন কোনো প্রমাণ মেলেনি যে এর কারণে গুরুতর অসুস্থতা দেখা দিতে পারে, এবং নতুন কোনো কারণে আক্রান্তের বাড়ছে- এমন তথ্যপ্রমাণও পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রেও দ্রুতই ইউরোপের মত নতুন ঢেউ দেখা যেতে পারে সম্ভাব্য বিএ.২ এর ছড়িয়ে পড়া, বিধিনিষেধ শিথিল করা ও টিকার সুরক্ষা কমে আসার কারণে

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours