‘আমার মেয়ের কিছু হয়ে গেলে, আমি তালেবানকে ক্ষমা করবো না।’

Estimated read time 0 min read
Ad1

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

আফগানিস্তানের স্কুলে মেয়েদের ফিরতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বদলেছে তালেবান।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্কুলে মেয়েদের বাধ্যতামূলকভাবে কোন ইউনিফর্ম পরতে হবে তা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি।

২০২১ এর আগস্টে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের বেশ কয়েক মাস পর সম্প্রতি মেয়েদের স্কুলে ফেরার অনুমতি দেওয়া হয়।

তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক নোটিশে বলা হয়েছে, স্কুল বন্ধ থাকবে। এ নিয়ে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি।

শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদল হওয়ায় বহু মেয়ে শিক্ষার্থী কান্নায় ভেঙে পড়েছে।

আবার শিক্ষক ও শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি হতাশাও প্রকাশ করেছে।

গত সপ্তাহে আফগান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক নোটিশে বলা হয় মেয়ে শিক্ষার্থীসহ সবার জন্য বুধবার থেকে সারা দেশের স্কুল খুলে দেওয়া হবে।

তবে স্কুল খোলার দিনেই সিদ্ধান্ত বদলেছে তালেবান কর্তৃপক্ষ।

বুধবার তালেবানের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নোটিশে বলা হয়,

মাধ্যমিক স্কুলের সব মেয়ে এবং যেসব স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণীর ওপরে মেয়ে শিক্ষার্থী রয়েছে তাদের পরবর্তী আদেশের আগ পর্যন্ত স্কুল বন্ধ থাকবে।

ওই নোটিশে আরও বলা হয়,

শরিয়া আইন এবং আফগানিস্তানের ঐতিহ্যেরভ সঙ্গে সঙ্গতি রেখে মেয়ে শিক্ষার্থীদের ইউনিফর্মের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার পর স্কুল খুলে দেওয়া হবে।

গত বছরের আগস্টে তালেবান যখন ক্ষমতা দখল করে তখন অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন নারী শিক্ষা বন্ধ করে দেওয়া হবে।

১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত নিজেদের প্রথম মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার সময়ে তারা নারীদের আনুষ্ঠানিক শিক্ষা নিষিদ্ধ করে দেয়।

তালেবানের কাছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অন্যতম দাবি ছিল বিদেশি সহায়তা পাওয়ার আগে তালেবানকে নারী ও মেয়েদের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

হঠাৎ করে তালেবান সিদ্ধান্ত বদল করায় নারী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাবা জানান, সকালে তালেবান কর্মকর্তারা স্কুলে ঢুকতে না দেওয়ায় তার মেয়ে হতবাক হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে। তিনি বলেন,

‘আমার মেয়ের কিছু হয়ে গেলে, আমি তালেবানকে ক্ষমা করবো না।’

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours