জাতীয় ডেস্ক
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের যে পররাষ্ট্রনীতি শিখিয়ে গেছেন
‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’
আমরা সেই নীতিতেই বিশ্বাস করি। তবে কখনো যদি বহিঃশত্রুর আক্রমণ হয়, আমরা যেন তা যথাযথভাবে প্রতিরোধ করতে পারি, তার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
মঙ্গলবার সকালে শরীয়তপুরের জাজিরায় শেখ রাসেল সেনানিবাসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আমরা যেন দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারি।
সেভাবেই আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে প্রশিক্ষিত ও সমৃদ্ধশালী করার পদক্ষেপ নিয়েছি।
আমি মনে করি, আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর প্রজ্ঞা, পেশাগত দক্ষতা ও নিষ্ঠা আমাদের দেশের সুনাম উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সব সময় চেয়েছি বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে।
সবদিক থেকে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিটি সদস্য উপযুক্ত হয়ে গড়ে উঠবে- সেটাই আমার লক্ষ্য ছিল।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমি জাতির কাছে কৃতজ্ঞ, তাদের সাহসী ভূমিকা এবং তাদের সমর্থন পেয়েছি বলেই এটা করা সম্ভব হয়েছে।
তাছাড়া আন্তর্জাতিকভাবে বন্ধুপ্রতীম কয়েকটি দেশও আমাদের সমর্থন দিয়েছে।
শুধু নির্মাণ নয়, এর নিরাপত্তা বিধানও আমাদের একান্তভাবে প্রয়োজন। আর সেই নিরাপত্তা বিধানের জন্য আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।
এই সেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে আমাদের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোর মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থারই শুধু উন্নতি হবে না, সঙ্গে সঙ্গে আর্থ-সামাজিক উন্নতিও হবে।
আজ আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ দিতে পেরেছি। প্রতিটি গৃহহারা মানুষকে ঘর তৈরি করে দিচ্ছি। সেটাও আমরা সেনাবাহিনীকে দিয়ে করিয়েছিলাম।
পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও জলবায়ু অভিঘাত থেকে আমাদের দক্ষিণ অঞ্চলকে রক্ষা করার জন্য ওই অঞ্চলের উন্নয়নটা একান্তভাবে দরকার।
+ There are no comments
Add yours