অনিন্দ্য নয়ন
প্রস্তাবিত গণমাধ্যম কর্মী আইনে সাংবাদিকের অধিকার ক্ষুন্নকারী ধারা উপধারা বাতিলের দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রামের সাংবাদিকরা।
বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে আয়োজিত সমাবেশ থেকে আইনটি সংশোধনের খসড়া প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তথ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানোর ঘোষণা দেয়া হয়।
এসময় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান সরকার সাংবাদিক বান্ধব সরকার। এই সরকারের আমলে সাংবাদিকদের জীবন-মান উন্নয়নে নানামূখী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। করোনাকালীন সময়েও সরকার নানা ভাবে সহায়তা দিয়েছে। কিন্তু গণমাধ্যম কর্মি আইনে বিভিন্ন ধারা উপধারায় সাংবাদিকদের বিদ্যমান অধিকার ক্ষুন্ন করায় আইনটি নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে বলেও সমাবেশে দাবি করেন নেতৃবৃন্দ।
নুর মোহাম্মদ রানার সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস, কামাল পারভেজ, প্রীতম দাস, এস এম পিন্টু, আবু ছালেহ, মাহবুল আলম, রিয়াজুর রহমান রিয়াজসহ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
এসময় বক্তারা বলেন প্রস্তাবিত গণমাধ্যম আইনে যেসব সুবিধার কথা বলা হচ্ছে এসব সুবিধা বিদ্যমান আইনেও রয়েছে। বরং বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিদ্যমান শ্রম আইন থেকে অনেক সুবিধা কমিয়ে দেয়া হয়েছে। এমনকি সংবিধানের ৩৯অনুচ্ছেদের পরিপন্থী ধারাও উক্ত আইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
সমাবেশে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ আইনটি সংশোধন করে সাংবাদিক বান্ধব আইন হিসাবে সংসদ অধিবেশনে উপস্থাপনের মাধ্যমে পাশ করানোর দাবি জানানো হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক এম হাবিব রেজা, রাজিব সেন প্রিন্স, মোহাম্মদ আলী, অলমগীর নুর, আব্দুল মতিন চৌধুরী রিপন, শেখ আলাউদ্দীন, আনিসুর রহমান, কমল চক্রবর্ত্তী, নজরুল ইসলাম, আবু হেনা খোকন, সুমন কুমার চৌধুরী, সেলিম চৌধুরী, সবুজ অরণ্য, তানভীর আহম্মেদ, মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দীন, রাজিব মজুমদার, এম আর আমিন, শিব্বির আহমদ ওসমান, মুজিব উল্লাহ তুষার, মোহাম্মদ জুবায়ের, মোস্তফা জাহেদ, এম আতিক উল্লাহ, রুমেন চৌধুরী, শিবু সেন, অনিন্দ্য নয়ন, মোহাম্মদ মুন্না, ফারহান সিদ্দিক,এনামুল হক লিটন, শাহেনা আকতার, এম কে মনির, বাবলা মিয়া প্রমুখ।
+ There are no comments
Add yours