২০ বছর ধরে এমবিবিএসের সনদ বিক্রি, চক্রের প্রধান এম এন হক গ্রেপ্তার

Estimated read time 1 min read
Ad1

 

খবর বাংলা ডেস্ক

নেই শিক্ষার্থী, শিক্ষক বা শ্রেণিকক্ষ। একই ব্যক্তি দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হয়ে সনদ বিক্রি করছেন ২০ বছর। তার নাম এম এন হক। এ কাজে তার সহযোগী ছেলে নুর আহমেদ। ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনে সংবাদ প্রচারের পর তাদের আটক করে পুলিশ। হয়েছে প্রতারণার মামলাও।

সাভারের নব দিগন্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টার। রোগী দেখছেন ডা. এস আর নজরুল। দিচ্ছেন জটিল রোগের ব্যবস্থাপত্র।

মাদ্রাসা থেকে আলিম পাস করে পুরোদস্তুর এমবিবিএস ডাক্তার এখন নজরুল। সনদ কিনেছেন অবৈধ প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি থেকে। সব মিলেয়ে ডিগ্রি ৫টি।

এদিকে যেই প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি ও পিচ ব্লেন্ড ইউনিভার্সিটি থেকে সনদ কিনেছেন তার মূল কার্যলয়সহ শান্তিনগরের শাখাটিও বন্ধ। পালিয়েছে সব কর্মচারী।

সনদ বিক্রি চক্রটির প্রধান এম এন হক থাকেন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায়। প্রথমে পরিচয় গোপনের চেষ্টা করলেও পরে জানা যায় তিনিই সেই ব্যক্তি। তার বাসায় মিলেছে ৫ ব্যক্তির নামের সিল। উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, সব সই করেন নিজেই। দুটি প্রতিষ্ঠানের নামে ঘরে বসেই বানান সনদ। সহযোগী ছেলে নুর আহমেদ।

প্রকৃত নাম মোহাম্মদ নুরুল হক, তবে নিজের পরিচয় দেন অধ্যাপক বারী ও অধ্যাপক গনী নামে। পড়াশোনা পদার্থ বিজ্ঞানে, হয়েছেন এমিববিএস ডাক্তার। নামের আগে-পরে থাকা ৪টি ডিগ্রিই ভুয়া।

২০ বছর ধরে ১৪৫টি বিষয়ের সনদ বিক্রি করছে এই হক চক্র। এসব সনদে ডাক্তার বনেছেন ৬ হাজারের বেশি মানুষ। ভুয়া হাসপাতালের নামে দিয়েছে ইন্টার্নশিপেরও ভুয়া সনদ।

ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনে সংবাদ প্রচারের পর এই ব্যক্তিকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে কয়েকজন ভুয়া চিকিৎসকেও।

ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার জানান, এম এন হকের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে হয়েছে প্রতারণার মামলা। তার বিরুদ্ধে আগেরও ১০টি মামলা ছিল বিএমডিসির

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours