নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনার ধাক্কা কাটিয়ে শক্তিশালী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের পথে রয়েছে বাংলাদেশ।
তবে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং বিশ্ববাজারে নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তা রয়েছে।
বিশ্ব অর্থনীতির অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতি ভালো অবস্থায় রয়েছে বলে উল্লেখ করেছে বিশ্বব্যাংক।
বুধবার দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতির হালনাগাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
এ উপলক্ষে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের প্রধান অর্থনীতিবিদ হ্যান্স টিমার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর শিল্প উৎপাদন এবং সেবা খাত ঘুড়ে দাঁড়ানোয় শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে বাংলাদেশ।
প্রতিবেদনে প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টিম্বন উল্লেখ করেছেন,
করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে শুরু করায় দেশের দারিদ্র্য হার ২০২০ সালে সাড়ে ১২ শতাংশ থেকে কমে ১১ দশমিক ৯ শতাংশে নেমেছে।
সামনের দিকে এগিয়ে যেতে মূল্যস্ফীতিকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। সেইসঙ্গে দেশের টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির জন্য ইউক্রেনের যুদ্ধের সম্ভাব্য প্রভাবগুলো পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে।
প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক সতর্ক করে বলেছে, ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে এশিয়ার এই অঞ্চলের প্রবৃদ্ধিতে ধাক্কা লাগতে পারে।
এবারের হিসাবে দক্ষিণ এশিয়ার প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে। যা আগের পূর্বাভাস থেকে এক শতাংশ কম।
শ্রীলঙ্কায় গত বছর সাড়ে ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হলেও এবার ২ দশমিক ৪ শতাংশে নেমে আসবে।
এ বছর ভারতের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৮ শতাংশ; যা পরের বছর ৭ দশমিক ১ শতাংশ হতে পারে।
এছাড়া পাকিস্তানের প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৩ শতাংশ, নেপালে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ভুটানের ৪ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
+ There are no comments
Add yours