জেলা পরিষদ চত্বরে বালুর মঞ্চে হবে জব্বারের বলীখেলা

Estimated read time 1 min read
Ad1

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:

 

করোনার কারণে দুই বছর বন্ধ থাকার পর ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে এবার ২৫ এপ্রিল (১২ বৈশাখ) অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলীখেলা। যথারীতি ২৪-২৬ এপ্রিল তিন দিন বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত হবে।

বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত বলীখেলা চলবে। লালদীঘি সংলগ্ন জেলা পরিষদ মার্কেট চত্বরে ২০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২০ ফুট প্রস্থের বালুর মঞ্চে হবে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা বলীদের (কুস্তিগীর) লড়াই।

রোববার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে লালদীঘির মাঠে বলীখেলা ও মেলার স্থান পরিদর্শনকালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী এসব তথ্য জানান। তিনি লালদীঘি পাড়ের চসিক লাইব্রেরির দ্বিতীয় তলায় মেলা কমিটির কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন।

চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে দেশের যুব সমাজকে সংগঠিত করতে ১৯০৯ সালে বদরপাতির আব্দুল জব্বার সওদাগর লালদীঘি মাঠে আয়োজন করেন কুস্তি প্রতিযোগিতা যা পরবর্তীকালে বলীখেলা ও মেলায় পরিণত হয়। বাংলা পঞ্জিকার বৈশাখের ১২ তারিখে বলী খেলাটি আব্দুল জব্বারে বলীখেলা হিসেবে খ্যাতি লাভ করে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মেলা কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর জহুর লাল হাজারী, ওয়ার্ড কাউন্সিলর আতাউল্লা চৌধুরী, ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, পুলক খাস্তগীর, সংরক্ষিত কাউন্সিলর রুমকী সেনগুপ্ত, মেলা কমিটির সহসভাপতি ও প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, সদস্যসচিব শওকত আনোয়ার বাদল, সাবেক কাউন্সিলর জামাল উদ্দিন, বলীখেলার রেফারি ও সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল মালেক, মো. চঞ্চল, মো. ইউসুফ, জিয়াউল হক সোহেল ও কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন প্রমুখ।
মেয়র আরো বলেন, জব্বারের বলী খেলা শুধু একটি খেলা নয় এটি আমাদের ঐতিহ্য। এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে আমাদের সহযোগিতা করতে হবে। সময়স্বল্পতার কারণে স্পন্সরের বদলে সম্পূর্ণ আয়োজনের ব্যয়ভার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন গ্রহণ করবে। এ মেলায় সঙ্গে আমাদের প্রান্তিক গ্রামের অর্থনৈতিক নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। বৈশাখ মাসকে ঘিরে মেলায় নানাবিদ শৈল্পিক ও গৃহস্থালি পণ্য বিক্রি করার জন্য গ্রামের হস্তশিল্পের কারিগরগণ ব্যস্ত থাকেন, অন্য দিকে নানা খাবারের পসরা তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাতেন। করোনা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হওয়ার কারণে তাদের উৎসাহ ও জীবন জীবিকার স্বার্থ বিবেচনায় এ মেলার আয়োজন। মেলার আগের যে জৌলুস ছিল, এখনো সবকিছুই থাকবে।
তিনি মনে করেন মেলা বন্ধের সিদ্ধান্তে চট্টগ্রামের মানুষের মধ্যে যে হতাশা ও ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল, তা পুরোপুরি নিরসন হবে। তিনি ঐতিহ্যবাহী এ আয়োজনে রাজনৈতিক, প্রশাসনসহ সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours