নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রস্তাবিত গণমাধ্যমকর্মী আইন প্রচলিত বিচারব্যবস্থা, শিল্প আইন ও বাংলাদেশ শ্রম আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মনে করে সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)।
গতকাল রোববার নোয়াব সভাপতি এ. কে. আজাদ ও সহসভাপতি এ এস এম শহীদুল্লাহ খান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়,
এই আইন পাস হলে স্বাধীন সাংবাদিকতা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বাধাগ্রস্ত ও সংবাদপত্রের বিকাশ সংকুচিত হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়,
‘২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাংলাদেশের সংবাদপত্র শিল্পের বিকাশে ‘নোয়াব’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে।
নোয়াবের ধারাবাহিক দাবির কারণে সরকার ২০১৪ সালে সংবাদপত্রকে ‘শিল্প’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। কিন্তু ‘শিল্প’ সম্পর্কিত প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা সংবাদপত্র পাচ্ছে না।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়,
‘এমনিতেই সাংবাদিকতা পেশা অন্য আর দশটি পেশার চেয়ে অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংবাদকর্মীদের স্বাধীনভাবে চিন্তা করার ক্ষেত্রে এক ধরণের চাপ তৈরি করেছে।
এর ওপর প্রস্তাবিত গণমাধ্যমকর্মী আইন পাশ হলে শিল্প হিসেবে সংবাদপত্র আরো বেশি রুগ্ন হবে। একইসঙ্গে সাংবাদিকদের জন্য তা হবে মর্যাদাহানিকর।
একইসঙ্গে সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থার মান বজায় রাখা ও সংশোধন,
সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সংরক্ষণ ও সুরক্ষার উদ্দেশ্যেই সংস্থাটি কাজ করে থাকে।
কাজেই প্রচলিত শিল্প আইন, বাংলাদেশ শ্রম আইন, প্রেস কাউন্সিল এবং চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মাধ্যমেই সংবাদপত্রের সকল কার্যক্রম তদরকি করা সম্ভব।
‘গণমাধ্যমকর্মী আইন’ নামে নতুন কোনো আইনের প্রয়োজনীয়তা নেই।’
+ There are no comments
Add yours