আমির হোসেন, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠিতে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। ক্রেতা সাধারণকে আকৃষ্ট করতে ফ্যাশন হাউজ গুলোকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে।
এমনকি বাজারের বিভিন্ন সড়কের পাশে ছোট বড় দোকান ভাড়া নিয়ে ফ্যাশন হাউজ ও তৈরী পোশাকের দোকান সাজিয়েছে নতুন নতুন ব্যবসায়ীরা।
তবে ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই এখানে বাড়ছে মানুষের ভিড়। সকাল ৮টা থেকে শুরু করে এই ভিড় কখনো কখনও রাত ১২টা পর্যন্তও থাকে।
ফ্যাশন হাউজ ও তৈরী পোশাকের দোকানের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পিছিয়ে নেই কসমেটিকস বিতানগুলোও।
ঈদকে সামনে রেখে এসব দোকান ও ফ্যাশন হাউজগুলোয় কেনাবেচার ধুম পড়েছে। গতবারের তুলনায় এবার দাম বেশি।
তবে পোশাকে এসেছে বেশ বৈচিত্র। প্রতিষ্ঠানের সাজসজ্জার কাজ সম্পন্ন করেই দোকানিরা শুরু করেছেন বেচাকেনা।
দোকান গুলোতে ইতিমধ্যে তরুণ-তরুণীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে।
এছাড়াও ছিট কাপড়ের দোকানে পছন্দের পোশাক তৈরীর জন্য দর্জিদের কাছে ভিড় করছে তরুণীরা।
তাই দিনরাত ব্যাস্ত সময় চলছে টেইলরদের। গত বছরের তুলনায় এবার পোশাকের দাম বেশি হওয়ায় নিম্নবিত্তরা পড়েছেন বিপাকে।
তাদের কথা চিন্তা করে ইতিমধ্যে ফুটপাতে বেশ কিছু পোশাকের দোকান দিয়েছে স্বল্প পুঁজির ব্যবসায়ীরা।
বাজারের নামিদামী দোকানের চেয়ে দাম কম হওয়ায় এইসব মার্কেটেও জমজমাট হয়ে উঠেছে বেচাকেনা।
তবে গত সপ্তাহের তুলনায় চলতি সপ্তাহে কেনাবেচা অনেকটাই বেড়েছে বলে জানান বিক্রেতারা। ঝালকাঠির ছাড়াও নলছিটি, রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া উপজেলার চিত্রও প্রায় অভিন্ন।
দেশি পোষাকের প্রতি আকর্ষণ থাকলেও দাম নিয়ে কিছুটা অসন্তোষ রয়েছে।
তবে সুতা সহ যাবতীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির কারনে এ বছর কাপড়ের দাম কিছুটা বেশি বদে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
ঈদ যতোই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে ক্রেতাসমাগম। ছিনতাই, রাহাজানি প্রতিরোধে বাড়তি সতর্কতায় রয়েছে পুলিশ সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বিভিন্ন মোড়ে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীরকে শতর্ক টহলে দেখা গেছে।
+ There are no comments
Add yours