মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুরে জমি অধিগ্রহনের টাকা আত্মসাত করার একটি মামলায় হাজিরা দিতে আসা দুই আসামীকে,
জেলহাজতে প্রেরনের আদেশ দেন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক।
এর আগে জমি অধিগ্রহনের টাকা আত্মসাতের মামলায় হাইকোর্ট থেকে ৬ মাসের জামিন নেন আসামীরা।
জামিনের মেয়াদ শেষ হলে মঙ্গলবার আদালতে হাজিরা দিতে গেলে তাদেরকে জেলহাজতের আদেশ দেন।
এর আগে জমির প্রকৃত মালিক মৃত হাজী মাইনুদ্দিন চৌকিদারের ছেলে সুলতান চৌকিদার বাদি হয়ে গত ২৪ নভেম্বর ২০১৯ইং তারিখে মাদারীপুর জুডিসিয়াল
ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মৃত আলিমুদ্দিন বেপারীর ছেলে দেলোয়ার বেপারীকে ১ নং আসামী করে ৯২২/২০১৯ পিটিশন মামলা দায়ের করেন।
মামলায় অন্যান্য আসামীরা হলেন মৃত আহম্মদ মোল্লার ছেলে ইদ্রিস মোল্লা ও মৃত হোচেন হাওলাদারের ছেলেন হাকিম হাওলাদার।
মামলার বিবরণ ও গোয়েন্দা রিপোর্ট সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুর জেলার শিবচর থানাধীন
৯৬ নং কাঠালবাড়ি মৌজার সর্বমোট ৩২৪৪ শতাংশ সম্পত্তির মালিক সুলতান চৌকিদার।
উক্ত সম্পত্তি বাণী ও মানিত সাক্ষীগণ এস এ ৮৯৩ নং খতিয়ানে প্রজা হাজী লেদু চৌকিদার
এবং এস এ ৮৯০ নং খতিয়ানের মালিক মাইনদ্দিন চৌকিদারের ওয়ারিশ হিসেবে
ও বিগত ১৪-০৯-১৯৬৮ ইং তারিখের মিস ১৩৮৬৮ নং মামলার ডিক্রি মূলে
প্রতি ২২ বংশ পরম্পরায় ১০০ বছরের উর্দ্ধকাল যাবৎ ভােগ দখলে আছেন।
উল্লেখিত আসামীদের নিকট বাদী তাহাদের ওয়ারিশগণ উক্ত সম্পত্তি কোন ভাবেই বিক্রয় বা হস্তান্তর করেন নাই।
এমনকি কোনভাবেই উল্লেখিত সম্পত্তিতে আসামীদের কোন মালিকানা নাই।
উক্ত সম্পত্তি বাদী ভােগ দখলকার করা কালীন পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের আওতায়
এল এ ১১/২০১৫-২০১৬ নং কেস মূলে সরকার বাহাদুর অধিগ্রহন করেন।
১.৩ নং আসামীগণ একে অপরে যােগশাযােশে উক্ত সম্পত্তির সরকার বাহাদুর প্রদত্ত
ক্ষতিপূরনের টাকা উত্তোলন পুর্বক উহা ভাগ বাটোয়ারা করে আত্মসাৎ করার মানসে কোনরুপ মালিকানা না থাকা সত্যেও
নিজেদের মালিক দাবী করে বিগত ইং ১১-১২-২০১৮ তারিখের ৭১৩০ নং চুক্তিনামা
দলিল প্রস্তুত করেন এবং উহা শিবচর সাব-রেজিষ্ট্রেরি অফিসে নিবন্ধিত করান।
উল্লেখিত একে অপরের সহিত নিজেদের উল্লেখিত সম্পত্তির বৈধ মালিক দাবী করে
তাহাদের বৈধ স্বত্ত্ব ও অধিকার বহাল আছে বলে হলফনামাও প্রদান করেন।
এমনকি ৭১৩০ নং দলিলটি মাদারীপুর ভূমি অধিগ্রহন কর্মকর্তার কার্যালয় দাখিল করে ১নং আসামী দেলােয়ার বেপারী বিগত ১৯-১২-২০১৮ইং তারিখের ০৮৬৪১১
এবং ০৮৬৪১৮ নং চেক মূলে (১.০৫ ১৪৭৪০+ ৫৮,৪২,৫৬৭)= ১,৬৩,৫৭৩০৭ (এক কোটি তেষটি লক্ষ সাতান্ন হাজার তিনশত সাত) টাকা
এবং ২ নং আসামী ইদ্রিস মােল্লা বিগত ইং ২৬-১২২০১৮ তারিখের ০৮৬৫৩০ নং চেক মূলে ৫২,৮৭,৯৭৬/-(বাহান্ন লক্ষ সাতাশি হাজার নয়শত ছিয়াত্তর) টাকা
এবং ৩ নং আসামী হাকিম হাওলাদার বিগত ইং ২৬-১২-২০১৮ তারিখের ৮৬৫২০ নং চেক মূলে ৫,২৮,৭৭৯/(পাচ লক্ষ আঠাশ হাজার সাতশ ও উনআশি) টাকা
অর্থাৎ উল্লেখিত ৪ টি চেক মূলে আসামীরা মােট দুই কোটি একুশ লক্ষ চুহাত্তর হাজার বাষট্টি টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।
যাহার প্রকৃত মালিক ছিলেন বাদী ও সাক্ষীগণ মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার (বাদশা চৌকিদার, ফাতেমা বেগম, জরিনা বেগম কলমজান বেগম।
আসামীগণ একে অপরের যােগশাজস করে বাদীর অজ্ঞাতসারে ভুয়া কাগজপত্র দাখিল করে প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে উক্ত অর্থ আত্মসাৎ করেন।
+ There are no comments
Add yours