নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কয়লা ও এলএনজিভিত্তিক মাতারবাড়ি-১ এবং মাতারবাড়ি-২ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ইতোমধ্যে স্থানীয় জলাশয়ের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করছে বলে দাবি করা হয়েছে পরিবেশকেন্দ্রীক দেশি-বিদেশি ৩টি সংগঠনের গবেষণায়।
তাদের এক গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে- এই দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হলে তার দূষণে প্রায় ৬ হাজার ৭শ মানুষের অকাল মৃত্যু হবে।
হৃদরোগসহ নানা রোগে আক্রান্ত হবে স্থানীয় জনগণ।
এসব থেকে উত্তরণের জন্য বাংলাদেশেকে বায়ু ও সৌর বিদ্যুতের মতো নবায়নযোগ্য জ্বালানি নির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের দিকে যেতে হবে বলেও তারা মনে করেন।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
‘চট্টগ্রাম অঞ্চলে জ্বালানি উৎপাদন পরিকল্পনা : সম্ভাব্য কার্বন বিপর্যয়’
শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের যৌথভাবে আয়োজন করে বাংলাদেশ পরিবেশ বাচাঁও আন্দোলননিয়ে ।
গবেষণাপত্রে বলা হয়, ২০৩০ সালে নাগাদ এলএনজি আমদানি করতে বাংলাদেশের বার্ষিক খরচ প্রায় ৮ দশমিক ৪ বিলিয়নে গিয়ে দাঁড়াবে।
এলএনজি থেকে প্রতি গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণে খরচ হবে গড়ে ৯৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
ফলে, দেশের অর্থনীতি বেশি দামে আমদানি করা জ্বালানি নির্ভর হয়ে পড়বে।
আপাতত বিদেশি কোম্পানিগুলো এসব খরচ করলেও পরিশেষে দেশের সাধারণ জনগণকে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
+ There are no comments
Add yours