চট্টগ্রাম বন্দর বিশ্বের ব্যস্ততম বন্দরের তালিকায় ৫৮তম স্থান অর্জন করেছে।

Estimated read time 1 min read
Ad1

সুলতান মাহমুদ সালাহউদ্দিন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।

লন্ডনভিত্তিক শিপিং বিষয়ক লয়েডস তালিকায় কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে এক বছরেই চট্টগ্রাম বন্দর ছয় ধাপ এগিয়ে এসেছে। লয়েডস প্রতিবছরই বিশ্বের ব্যস্ততম বন্দরের তালিকা তৈরি করে থাকে। এ তালিকায় চট্টগ্রাম বন্দর ২০১০-২০১৯ সাল পর্যন্ত যথাক্রমে ৮৮, ৮৯, ৯০, ৮৬, ৮৭, ৭৬, ৭১, ৭০, ৬৪ ও ৫৮ তম স্থান অর্জন করেছে।

গত ২০১৮ সালে এই তালিকায় চট্টগ্রাম বন্দর ৬৪তম স্থানে ছিল। এ নিয়ে গত এক দশকে ৩০ ধাপ এগিয়েছে এই বন্দর।

মূলত পোশাকশিল্পের রপ্তানির ওপর ভর করেই চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার পরিবহনের সংখ্যা বাড়ছে বলে উল্লেখ করা হয় লয়েডস লিস্টের প্রতিবেদনে। তবে অবস্থানগত উন্নতি হলেও প্রতিবেদনে চট্টগ্রাম বন্দরের সম্প্রসারণ জরুরী বলেও স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বন্দর সূত্রে জানা যায়, সমুদ্রপথে বাংলাদেশের কন্টেইনার হ্যান্ডেলিংয়ের ৯৮ শতাংশ কাজ পরিচালিত হয়।

চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম আবুল কালাম আজাদ বলেন, আধুনিক বন্দর ব্যবস্থাপনা, স্বল্প মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগ, নতুন নতুন হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট সংগ্রহের পাশাপাশি সরকার, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও বন্দর ব্যবহারকারীদের সহযোগিতায় একের পর এক সাফল্য স্বীকৃতি অর্জন করছি আমরা। পাশাপাশি কনটেইনার টার্মিনাল, লালদিয়া টার্মিনাল, বে টার্মিনাল হয়ে গেলে বিশ্বের শীর্ষ কনটেইনার পোর্টে আমরা অনেক ধাপ এগোতে পারবো বলে আশা করি।’

চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, শিল্প ও সেবা খাতে যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হচ্ছে, তার প্রতিফলন ঘটছে বন্দরের কনটেইনার পরিবহন বৃদ্ধির হারে। সামনে অর্থনৈতিক অঞ্চলের কারখানার জন্য কাঁচামাল আমদানি ও প্রস্তুত পণ্য রপ্তানি করতে হবে। ভারতের সাত রাজ্যে পণ্য পরিবহনের সুবিধাও চালু হয়েছে। তাতে কনটেইনার পরিবহন আগামী দিনে বাড়বে। এ জন্য বে টার্মিনাল চালুর বিকল্প নেই।

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours