কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বন্যায় ভেঙ্গেছে সেতু ;বিপর্যস্ত জনজীবন

Estimated read time 1 min read
Ad1

 

ইউনুস আলী,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের ধনিরাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একেবারে পাশেই অবস্থিত কাঠের তৈরি সেতুটি ভেঙ্গে গেছে। ফলে নদী পাড়াপারে চরম ভোগান্তিতে পরেছেন সেতুর আশপাশের কয়েকটি গ্রামের হাজারও মানুষ।
বছর তিনেক আগে বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদের আর্থিক সহযোগীতায় নীলকমল (নাওডাঙ্গা খাল) নদীর উপড় কাঠের সেতুটি নির্মিত হয়। নির্মাণের পর থেকেই ইউনিয়নটির ধনীরাম, বুড়ির চর,বড়ভিটা,চর মেখলি,চর ধনীরাম, ঘোগারকুটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ সেতুটি ব্যবহার করে আসছেন। সেতুটি কাঠের হলেও এ গ্রামগুলির বাসিন্দাদের জীবনযাপনে যথেষ্ট গুরুত্ব বহন করে। গত আম্ফান তান্ডবে সেতুটির ব্যাপক ক্ষতি হয়। স্থানীয়রা মিলে নড়বরে সেতুটি মেরামত করে আবার পাড়াপারে উপযোগী করে তোলে। কিন্তু তাদের প্রচেষ্টাতেও সেতুটির শেষ রক্ষা হয়নি।সাম্প্রতিক বন্যার পানির স্রোতের তোড়ে সেতুর মাঝের অংশ ভেঙ্গে পাড়াপারের একেবারেই অযোগ্য হয়েছে সেতুটি। বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে জনজীবন। সেতুটি পুণঃ নির্মাণের আর কোন বিকল্প নেই।
সেতু ভাঙ্গার ফলে ভোগান্তির শিকার মাইদুল ইসলাম(৩৫) বাবুল মিয়া (৩৮) শোভা রানী(৩৭) আব্দুল হাই(৬০) রহিমুল্ল্যাহ (৫৫) বলেন,নদীর ওপারের চরের জমিতে চাষাবাদ ও গবাদিপশু পালন করে আমরা জীবিকা নির্বাহ করি।চরে যাতায়তের একমাত্র ভরসা ছিল এই সেতুটি।সেতুটি ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে আমরা চরে উৎপাদিত কলা,পাটসহ বিভিন্ন ফসল নদী পাড় করতে পারছি না। গবাদিপশু নিয়েও পরেছি বিপদে। সেতুটি ভেঙ্গে যাওয়ায় চরের সাথে পুরোপুরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে ফলে চরে কেউ অসুস্থ্য হলে পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে।
সেতুটির অদুরে অবস্থিত ধনীরাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহ সভাপতি গজেন্দ্র নাথ রায় ও বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেক দুলাল বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর বেশির ভাগই নদী ওপাড়ের। তাদের পাড়াপারের জন্য এই সেতুটি একমাত্র অবলম্বন। সেতুটি পুণঃ নির্মাণ না হলে অনেক শিক্ষার্থীর ঝরে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অত্র অঞ্চলের শিক্ষা, চিকিৎসা, কৃষি, ব্যবসা বানিজ্যে ও যাতায়তের একমাত্র অবলম্বন সেতুটি দ্রুত পুণঃ নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর।
সেতুটির বিষয়ে বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খয়বর আলী মিয়া বলেন, জনগনের দুর্দশা দুর করতে অতিদ্রুতই নদী পাড়াপারের বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। পাশাপাশি বরাদ্দ পেলে সেতুটি পুণঃ নির্মাণে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours