এম হেলাল উদ্দিন নিরব, পটিয়া-
চট্টগ্রাম দলের প্রতি ভালোবাসা এমনই হয়।যেন এক মায়ার সাজানো সংসার।
দলের প্রতি এমন ভালোবাসা দেখা যাই যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিকি সম্মেলন পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে আনুষ্ঠানিক শুরু হওয়ার আগ মূহুর্তে দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সভাপতি আ.ম.ম টিপু সুলতান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক প্রার্থ সারথী চৌধুরী একে অপরকে বুকে জড়িয়ে ধরে আবেগ তাড়িত হয়ে অঝোঁরে কাদলেন।
মঞ্চে তাদের এমন কান্নার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে উপজেলার সকল নেতাকর্মীরাও দীর্ঘদিনের ভালবাসা ও ভালো লাগার প্রিয় এই দুই নেতাকে হারানোর ভয়ে আবেগ তাড়িত হয়ে পড়ে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতাকর্মীরা বর্তমান কমিটির সভাপতি আ.ম.ম টিপু সুলতান চৌধুরীকে দক্ষিণ জেলা যুবলীগের কমিটিতে পুনরায় সভাপতির দায়িত্ব নিতে এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি দায়িত্ব দিতে অনুরোধ জানান।
আ.ম.ম টিপু সুলতান চৌধুরী সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্য রাখতে গিয়ে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে বলেন,
আমি ৩৬ বছরের রাজনীতি জীবনে দল এবং দলের পদবিকে ব্যবহার করে কোনো টাকা পয়সা রুজি করিনি। কোনো গাড়ি বাড়ি করিনি। এটা নিয়ে অনেকেই টাট্টা মসকারি এবং অপমানিত করে।
দক্ষিন জেলা যুবলীগের কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে টেন্ডারবাজী, চাদাবাজী এবং দখলবাজী করেছে এমন এ পর্যন্ত কেউ করতে পারেনি।
বর্তমান যুবলীগের কমিটিতে আসার জন্য কিছু দখলবাজ, চাঁদাবাজ, ধান্ধাবাজ প্রার্থী হয়েছে।
যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি অনুরোধ এমন কোনো ব্যক্তিকে যাতে যুবলীগের দায়িত্ব দেওয়া না হয়।
যার কাছে সংগঠন নিরাপদ নই। আ.ম.ম টিপু সুলতানের এমন বক্তব্যে উপস্থিত হাজার হাজার নেতাকর্মীরা হাত তালি দিয়ে তাকে সমর্থন জানান।
শনিবার (২৮ মে) দুপুরে পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক প্রার্থ সারথী চৌধুরীর সঞ্চালনায়,
দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সভাপতি আ.ম.ম টিপু সুলতান চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, প্রধান বক্তা ছিলেন,
কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি,
কেন্দ্রীয় আওয়ামী উপ প্রচার সম্পাদক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান,
চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সংসদ সদস্য মো.নজরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৬ আসনের সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী,
কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলম, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম, হুইপ সামশুল হক চৌধুরী,
সাংগঠনিক সম্পাদক মো.সাইফুর রহমান সোহাগ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মীর মো.মহি উদ্দীন,
উপ ক্রীড়া সম্পাদক মো.আব্দুর রহমান, সহ-সম্পাদক মো.নাসির উদ্দীন মিন্টু, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিট,
সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহাবায়ক দিদারুল ইসলাম চৌধরী, যুগ্ন আহ্বায়ক সোলায়মান চৌধুরী, রাজু দাশ হিরু,
সাবেক এমপি চেমন আরা তৈয়ব, দক্ষিণ জেলা আ’লীগের সহ সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, যুগ্ন সম্পাদক রাশেদ মনোয়ার,
পৌর মেয়র আইয়ুব বাবুল, পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আকম শামশুজ্জামান চৌধুরী,
সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হারুনুর রশীদ, দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম বোরহান উদ্দীন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১০ সালে আ.ম.ম টিপু সুলতান চৌধুরীকে সভাপতি ও অধ্যাপক প্রার্থ সারথীকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি গঠন করা হয়।
স্বাধীনতা পরবর্তী ১৯৭২ সালে মৌলভী সৈয়দকে সভাপতি ও মোছলেম উদ্দিন চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে প্রথম যুবলীগের কমিটি গঠন করা হয়।
বিগত ৫০ বছরেও দক্ষিণ চট্টগ্রামে কখনো সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি।
+ There are no comments
Add yours