নিজস্ব প্রতিবেদক:
রোহিঙ্গা মতিউর রহমান এবং তার মিয়ানমারের জায়গার রেকর্ডপত্র ও স্ত্রী-সন্তানের মিয়ানমারের আইডি কার্ড এলাকায় চিহ্নিত রোহিঙ্গা মতিউর রহমান (৫৬)।
যার স্ত্রী, সন্তান অনেকে এখনো আছেন কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প ও মিয়ানমারে।
যার নামে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে রয়েছে জায়গা জমি এবং তার পরিবারের সবাই মিয়ানমারের ভোটার।
গত ১০/১২ বছর পূর্বে পালিয়ে এসে বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইয়াংছা কাঁঠালছড়া এলাকায় বসবাস শুরু করে।
নিজের নামে করেছেন ভোটার আইডি কার্ড।
বাংলাদেশী পরিচয়ে সাগর পথ দিয়ে কয়েক দেশ ঘুরে তার এক সন্তান আমেরিকা ও আরেকজন অস্ট্রেলিয়া থাকে।
অর্থে বিত্তবান হওয়ায় সে নিজেকে অনেক কিছু ভাবতে শুরু করেছেন। সে মৃত হাজী বদিউজ্জামান এর ছেলে।
অত্যান্ত দুঃখজনক ব্যাপার হলো, ১০/১২ বছর এলাকায় থাকার সুবাদে সে বাংলাদেশী দাবী করেন তো বটে,
এখন নিজেকে একজন মুক্তিযোদ্ধা দাবী করতে শুরু করেছেন।
অনেকে কাছে বলেছেন তিনি মুক্তিযোদ্ধা। এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে তিনি শসস্ত্র সংগ্রামে অংশ নিয়েছে।
তার এমন কথায় এলাকায় হৈচৈ শুরু হয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় নিন্দার ঝড় ওঠে।
এমনকি সে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে আবেদন করতে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সত্যায়িত ও পাওয়ার জন্য স্থানীয় ইউপি মেম্বার মোহাম্মদ জিয়াবুল ইসলামের কাছে আসে।
তখন বিষয়টি জানাজানি হয়। ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার মোহাম্মদ জিয়াবুল ইসলাম বলেন,
এলাকায় চিহ্নিত রোহিঙ্গা মতিউর রহমান আমার কাছে এসে মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার কথা বলে।
সে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবী করে। তার কথা শুনে আমি যেন আকাশ থেকে পড়েছি।
তার জমা দেয়া সব কাগজপত্র আমি জব্দ করে রাখি। বিগত চেয়ারম্যান ও মেম্বারের সময়ে কিভাবে যেন সে জাতীয় পরিচয়পত্র করে নিয়েছে। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানিয়েছি।
এই গুলো আমাদের জন্য লজ্জার !
লামা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ মাহাবুবুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি জানতে পেরে হতবম্ভ হয়ে যাই। ক্যাম্প থেকে পালিয়ে আসা এইসব রোহিঙ্গারা আমাদের জন্য হুমকি স্বরুপ। এদের খুঁজে বের করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ফেরত পাঠানো দরকার। এছাড়া যে সব রোহিঙ্গারা ১০/১২ বছর আগে এসে ভোটার হয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে আইডি কার্ড বাতিল করার জন্য সরকার ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এবিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আব্দুল হামিদ এর ভাতিজা ও লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল বলেন, তাকে খুঁকে বের করে আইনী ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। নতুন করে ভোটার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কোন রোহিঙ্গা যেন ভোটার হতে না পারে সে বিষয়ে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। সংবাদ প্রেরক ইসমাইলুল করিম লামা বান্দরবান
+ There are no comments
Add yours