মো. মুবিনুল হক মুবিন, নাইক্ষ্যংছড়ি:
নাইক্ষংছড়ি সরকারী কলেজ ক্যম্পাসে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাতে দুই ছাত্র গুরুতর আহত আহত হয়েছে।
আহতরা হলো কাউয়ার খোপ এলাকার শহিদুল কামাল (১৭) পিতা নুর মোহাম্মদ ও আক্তার হোসেন (১৭)।
পিতা আবদুচ্ছামাদ । এদের একজনের অবস্থা গুরুতর।
এ ঘটনার জের ধরে নাইক্ষ্যংছড়ি-রামু সড়ক অবরোধ করে রাখে আহতদের সমর্থকরা।
কলেজ কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় ঘটনার সাথে জড়িত রাকিবুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ।
সে দোছড়ি ইউনিয়নের লেমুছড়ি এলাকার সালাহউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে।
শনিবার (১১ জুন) সকাল সাড়ে ১০ টায় নাইক্ষ্যংছড়ি হাজি এম এ কালাম সরকারী কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,আটক রাকিব আহত, শহিদুল ও আক্তার প্রথম বর্ষে পড়ে। তারা তিন জনের মধ্যে ২ জনের দ্বন্দ্ব অতিব্যক্তিগত।
এ নিয়ে গত ৪ দিন আগে আরো একবার কথা-কাটাকাটি হয় দু’জনের মধ্যে। বিষয়টি যানার পর অভিভাবকরা মিমাংসা করে দেন।
এদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন বলেন,
তিনি বাড়ি থেকে পরিষদ কার্যালয়ে আসার পথে সকাল ১০ টার পরে কলেজ ক্যাম্পাসে উত্তপ্ত পরিস্থিতির কারণে তিনি সে খানে গিয়ে দেখেন ক্যাম্পাসে দু’ দলছাত্র মূখোমূখি।
জানতে চাইলে একদল শিক্ষার্থী বলেন,২ ছাত্র ছুরিকাহত হওয়ার ঘটনা।
এরই মধ্যে কলেজ কতৃর্পক্ষ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রাকিব নামের এক ছাত্রকে আটকে রাখে একটি কক্ষে।
পরে থানা পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। আর আহতদের চিকিৎসার জন্যে প্রথমে নাইক্ষ্যংছড়ি পরে চট্টগ্রাম রেফার করেন চিকিৎসরা।
কলেজ অধ্যক্ষ ও আ ম রফিকুল ইসলাম বলেন,মূলত আটক রাকিবুল ইসলাম (১৭) প্রথম বর্ষের ছাত্র। সে খুবই উচ্ছৃঙ্খল।
ছাত্রীদের সাথে ইভটিজিং করার বিষয়ে তাকে শাসানো হয়েছিল এবং সতর্ক করে দেয়া হয়েছিলো।
কিন্তু এরপরে ও কলেজ ক্যাম্পাসে নিরীহ ছাত্রদের ছুরি মেরে গুরুতর আহত করা ন্যাক্কারজনক ঘটনা।
অভিযোগ করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন,পুলিশ ঘটনায় হাত দিয়েছেন। তারা নিরেপক্ষ তদন্ত করে কী বের করে দেখা যাক।
বিষয় নিয়ে আহতদের পরিবার একজন ইমাম হোসেন ইমরান বলেন,আহতের একজন তার ছোটভাই।
সে এখন ককসবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অবস্থা তত ভালো না। অপর আহত ছাত্র তারই এলাকার মেধাবী আর এক ছাত্র তার নাম শহিদুল কামাল।
তার অবস্থা আশংকা জনক। তাকে পেটে এবং কাঁদে আঘাত করা হয় ধারালো ছুরি দিয়ে।
তার অনেক রক্তক্ষণ হয়েছে। তিনি আরো বলেন,নাইক্ষ্যংছড়ি কলেজের ফিউচার অন্ধকার।
কাউয়ারখোপের দেড়শতাধিক শিক্ষার্থী এ কলেজে পড়ে। এখন তারা আতংকে।
খবর পেয়ে কাউয়ারখোপের অভিভাবক সহ সাধারণ মানুষ শনিবার সকাল ১২ টা থেকে প্রায় ৫/৬ ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে।
এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল সাহেবের হস্তক্ষেপে তারা অবরোধ তুলে নেন।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ টানটু সাহা বলেন,আটক ছাত্র রাকিব (১৭) নাবালক হলেও তাকে ছাড়া যাবে না।
আহতদের পরিবার বা কলেজ কতৃপক্ষ যেই হোক,মামলা বা অভিযোগ করলে আইনী ব্যস্থা নেয়া হবে। সংবাদ প্রেরক- মু. মুবিনুল হক মুবিন
+ There are no comments
Add yours