নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে বাংলাদেশে তিন গণমাধ্যমকর্মী খুন হওয়ার ঘটনায় গভীর শঙ্কা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আর্টিকেল নাইনটিন।
রোববার (১২ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দেশজুড়ে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা এবং সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমাদান ৮৯তম বারের মতো পেছানোসহ
সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা সমূহের নিন্দা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাটি।
আর্টিকেল নাইনটিন বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত দেশজুড়ে সাংবাদিকদের ওপর শারীরিক হামলার ৬২টি ঘটনা তারা রেকর্ড করেছে।
এসব ঘটনায় ১১৮ জন সাংবাদিক আহত ও লাঞ্ছিত হয়েছেন।
দেশের সচেতন নাগরিক, গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের ওপর এসব ঘটনার প্রভাব ও ব্যাপকতা মারাত্মক,
যা এরই মধ্যে একটি ভয়ের পরিবেশ ও সংস্কৃতি কায়েম করেছে।
আর্টিকেল নাইনটিন সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিতে হত্যাসহ নির্যাতন ও অধিকার লঙ্ঘনের প্রতিটি ঘটনা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত ও সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
একইসঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনে সরকারের প্রতিশ্রুতি অবিলম্বে বাস্তবায়নেরও আহ্বান জানিয়েছে।
মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের সুরক্ষার অধিকার প্রসারে বিশ্বজুড়ে কাজ করা সংস্থাটি বলছে, সাংবাদিকদের অধিকার লঙ্ঘন ও হত্যাসহ নির্যাতনের অব্যাহত এই প্রবণতা বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা পরিস্থিতির ক্রমাবনত নাজুক অবস্থা ও বিচারহীনতার পরিস্থিতি নির্দেশ করে।
আর্টিকেল নাইনটিন তিন হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে ঘটনায় জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।
কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টসের (সিপিজে) ‘গ্লোবাল ইমপিউনিটি ইনডেক্স-২০২১’ অনুযায়ী বিশ্বে সাংবাদিক হত্যার বিচার না হওয়া দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১১তম। তাই কর্তৃপক্ষকে এটা নিশ্চিত করতে হবে যে, সাম্প্রতিক তিনটি হত্যাকাণ্ডসহ সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত যেন দ্রুত শেষ হয় এবং প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হয় বলে জানিয়েছেন ফারুখ ফয়সল।
+ There are no comments
Add yours