কোরবানীর ঈদ সামনে রেখে ফটিকছড়ি পৌরসভা এলাকায় শুরু হয়েছে গরু চুরির হিড়িক

Estimated read time 1 min read
Ad1

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

আসন্ন কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে ফটিকছড়ির বিভিন্ন যায়গায় গরু চুরির ঘটনা আকস্মিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

অল্প কয়েক দিনের ব্যবধানে ফটিকছড়ি পৌরসভার পাট্টিলাকুল, দুয়োইজ্জের পাড় নল্লোটিলা ও হুতুইজ্জের টিলা এলাকা থেকে বেশ কিছু গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে।

দুর দুরান্তের গরু চুরির ঘটনাগুলো এলাকায় তেমন চাউর না হলেও গত পরশুদিন রাতে ফটিকছড়ি পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের হুতুইজ্জের টিলাস্থ মুন্সী মিয়ার পুত্র বেলালের চারটি গরু চুরির ঘটনা এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

এলাকার চিহ্নিত চোরের দল পিকাপ নিয়ে এসে বেলালের ৪টি গরু চুরি করে নিয়ে যায়।

গরু নিয়ে যাওয়ার সময় বেলালের এক ভাই মোটর সাইকেল নিয়ে পিছু পিছু অনেকদূর পর্যন্ত ধাওয়া করেও তাদের ধরতে পারেনি।

গরু বোঝাই পিকাপটি ফটিকছড়ি পৌরসভা এলাকা ছেড়ে সুয়াবিল হয়ে কাজিরহাটের দিকে চলে গেছে বলে একটি সুত্রে খবর পাওয়া গেছে।

চুরির ঘটনা সংগঠিত হওয়ার দিন ফুলতল ৪নং ওয়ার্ডের হুতুইজ্জের টিলা-রাবার বাগান-কাঞ্চনপুর রাস্তা দিয়ে একটি মেটরসাইকেল নিয়ে ৩ জন লোকবেশ কয়েকবার আসা যাওয়া করতে দেখা গেছে বলে জানা গেছে।

মোটর সাইকেলে তিন জন অজানা অচেনা লোক ছিল বলে জানা গেছে।

এলাকার লোকজনের ব্যাপারটি বুঝতে আর বাকি রহিল না একটি চিহ্নত চোরের দল গরু চুরির এই ঘটনা নিয়ে এলাকার ভুক্তভোগী লোকজন পৌরসভার মেয়র সাহেব,

৪নং ওয়ার্ডের কমিশনার সাহেবের কাছে মৌখিক ও লিখিতভাবে নালিশ করবেন বলে জানা গেছে।

গরু চুরির আশঙ্কা নিয়ে আমরা অল্প কিছুদিন আগেই কৃষকদের উদ্দেশ্যে সতর্কতা মুলক একটি পোস্ট দিয়েছিলাম।

সেখানে সকল রাখাল কৃষক ও খামারীদের উদ্দেশ্যে বেশ কিছু সতর্কতা মুলক লেখা দিয়েছিলাম।

কে বা কারা এলাকায় গরু চুরির সাথে সবসময় জড়িত থাকে তার ব্যাপারে স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছিলাম।

যেসব এলাকা গরু চুরির জন্য চোরের টার্গেট থাকে সে যায়গাগুলো সম্পর্কে স্পষ্ট একটা ধারনা দিয়েছিলাম।

কোরবানীর সপ্তাহ পনেরদিন আগে থেকেই গরু চুরির ঘটনা বেড়ে যাবে বলে সতর্ক করেছিলাম।

বিশেষ করে এলাকার পুরানা কাম্মো ব্যাপারে সাবধান করেছিলাম।

কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হলনা। আপনারা কৃষক ও খামারী ভাইয়েরা আমাদের সতর্কবানীকে কানেই নিলেন না।

আপনারা এলাকার গরুচোর সিন্ডিকেটের পুরানা কাম্মোর থাবা থেকে নিস্তার পেলেন না।

আপনারা দিনের বেলায় যখন দেখলেন যে এই কাম্মো আপনাদের এলাকায় অজানা অচেনা লোকজন নিয়ে চলাফিরা করছে তখনই বা কেন সাবধান হলেন না?

তখনই বা কেন আপনাদের ৪নং ওয়ার্ডের কমিশনার সাহেব ও মেয়র সাহেবকে জানালেন না?

তখন যদি আপনারা লোকজন নিয়ে রাতের বেলায় পাহাড়ার ব্যবস্থা করতেন তবে আজ আপনাদের গরুও চুরি হতোনা আর চোরও পালিয়ে যেতে পারতোনা।

আপনারা এলাকার পুরানা কারবারী গরু চোরকে হাতে নাতেই পাকড়াও করতে পারতেন।

আমরা একটি বিশেষ সুত্রে জানতে পেরেছি যে কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে দুর দুরান্ত থেকে চোরাই গরু এনে ফুলতল স’মিল এলাকায় জমজমাট গরুর ব্যবসা আরম্ভ করে দেয়।

এই সুত্রটি জানায় যে এলাকার যেসব গরু তারা চুরি করে তা সুয়াবিল, হারুয়ালছড়ি, কাজিরহাট,

মির্জারহাট ও নারায়নহাটে পাঠিয়ে দিয়ে সেখানকার চোরদের চুরিকরা গরুর সাথে রদবদল করে ওখানকার গরুগুলো বিভন্ন এলাকাথেকে বিক্রির জন্য নিয়ে আসে।

এরপর চলতে থাকে তারদের চোরা গরুর রমরমা বাণিজ্য।

আমরা এলাকার এই চিহ্নিত গরুচোর, টানা কারবারী বিরুদ্ধে প্রদক্ষেপ নিতে এলাকার কমিশনার, মেয়র ও ইউএনও কাছে আবেদন জানাই।

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours