পদ্মা সেতুর সুফল মিলবে সারা দেশে

Estimated read time 1 min read
Ad1

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৫ জুন সকাল ১০টায় উদ্বোধনের মাধ্যমে  নতুন এক ইতিহাস সৃষ্টি করবেন।

পূরণ হবে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা।

পদ্মা সেতুকে ঘিরে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে গড়ে উঠবে বহুমাত্রিক অর্থনৈতিক জোন। গড়ে উঠবে নতুন নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠান, বাড়বে কর্মসংস্থান।

গতি বাড়বে বেনাপোল, মোংলা, ভোমরা ও পায়রা বন্দরের। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে সারা দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটবে।

কৃষি, মৎস্যসহ বিভিন্ন পণ্য পরিবহণে ব্যয় ও সময় বাঁচবে এবং যাতায়াত সহজতর হবে। শুধু দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলই নয়, পদ্মা সেতুর সুফল মিলবে গোটা দেশের মানুষের।

খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা বলেন-

পদ্মা সেতু আমাদের একটা অনুভূতির নাম।

২৫ জুনের পর থেকে এই পদ্মা সেতু দিয়ে আমরা পারাপার হতে পারব। আজ থেকে ১০ বছর আগে পদ্মায় সেতু তৈরি হবে মানুষ কল্পনাও করতে পারেনি।

আজ সেটিই বাস্তবে রূপ পেয়েছে। এই পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে যখন প্রধানমন্ত্রী যাত্রা শুরু করলেন, তখন থেকে যে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল, জননেত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ়তার সঙ্গে সমস্ত ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে নিজস্ব সক্ষমতা, দেশের অর্থ দিয়ে পদ্মা সেতু করেছে। সারা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ঢাকায় যেতে আগে ৯-১০ ঘণ্টা সময় ব্যয় হতো।

আজ সাড়ে ৩-৪ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে ঢাকায় যেতে পারবে।

ইতোমধ্যে অনেক ব্যবসায়ী মোংলা থেকে শুরু করে মাওয়া পর্যন্ত জমি কিনেছেন।

পদ্মা সেতু চালু হলে তারা বিনিয়োগ করবে, আর প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। এই অঞ্চলে বহুমাত্রিক অর্থনৈতিক জোন তৈরি হবে।

শাক-সবজি, মাছসহ পণ্য সহজেই ঢাকায় নিয়ে বিক্রি করে আবার খুলনায় ফিরতে পারবে।

তিনি বলেন, ঢাকা এবং চট্টগ্রামে যদি ৫-৭ বছর থাকে ট্যাক্স হলি ডে, তাহলে এই অঞ্চলে যেন তাদের জন্য ১৫ বছর ট্যাক্স হলি ডে দেয়।

তাহলে দেখা যাবে আমাদের কর্মসংস্থান হবে, রাজস্ব আয় হবে, জীবনযাত্রার মান বাড়বে। পদ্মা সেতু হওয়ায় নতুন দ্বার উন্মোচিত হলো।

খুলনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল বলেন, আমাদের স্বপ্নের সেতু পদ্মা।

এই সেতুর ফলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বরিশাল এবং খুলনা বিভাগে যাতায়াতের অবাধ সুযোগ সৃষ্টি হবে।

চিংড়ি এবং মাছের অবারিত সুযোগ আরও সম্প্রসারিত হবে।

কারণ মাছ যখন জীবন্ত বাজারে নিয়ে যেতে পারবে, তখন মূল্যটা আরও বেশি পাবে।

খুলনা থেকে প্রতিদিন হিমায়িত ও বরফায়িত মাছ ঢাকা এবং চট্টগ্রামের মার্কেটে নিয়ে যেত।

এখন ৪-৫ ঘণ্টায় ফ্রেস মাছ নিয়ে যেতে পারব।

এক্ষেত্রে আমি মনে করি চাষিরা সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে। যেহেতু খুলনা চিংড়ি, মাছসমৃদ্ধ অঞ্চল, এই অঞ্চলে বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠছে।

পদ্মা সেতু হওয়াতে মৎস্য সেক্টর সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে বলে আমার মনে হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours