দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। দ্রুত গতিতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার কারণ হিসেবে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের নতুন দুই সাব ভ্যারিয়েন্ট-
বিএ.৪ এবং বিএ.৫ দায়ী বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি)।
সাব-ভ্যারিয়েন্ট গুলো উচ্চ সংক্রামক হলেও মৃত্যু ও হাসপাতালে ভর্তির হার কম বলে জানিয়েছে গবেষণা কেন্দ্রটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সাব-ভ্যারিয়েন্ট বিএ.৪ এবং বিএ.৫ আগের সাব ভ্যারিয়েন্টগুলোর তুলনায় দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে।
এর ফলে দেশে সংক্রমণের নতুন ঢেউ দেখা দিয়েছে। এ সাব-ভ্যারিয়েন্ট দুটি এ বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হয়েছিল।
মঙ্গলবার (৫ জুলাই) আইসিডিডিআরবির অফিসিয়াল সাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
আইসিডিডিআর’বি জানায়, চলতি বছরের ৯ এপ্রিল থেকে ১৩ মে এর মধ্যে দেশে করোনা শনাক্তের হার খুব কম থাকায় সিকোয়েন্সিং করা সম্ভব হয়নি।
গত ছয় সপ্তাহে (১৪ মে থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত) বিএ.৫ সবচেয়ে প্রভাবশালী সাবভ্যারিয়েন্ট হয়ে ওঠে।
৪০ জন বিএ.৫ সংক্রমিত রোগীর ক্লিনিক্যাল ডাটা এবং টিকাদানের ইতিহাস পর্যবেক্ষণ করে সংক্রমিতদের মধ্যে ১৬ জন পুরুষ ও ২৪ জন নারী রয়েছেন দেখা যায়।
তাদের ৩৯ জনের মধ্যে করোনার মৃদু উপসর্গ দেখা গেছে এবং একজনের মধ্যে কোনো উপসর্গ দেখা দেয়নি।
তাদের মধ্যে মাত্র একজনকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল।
এদের মধ্যে ১১ জন দ্বিতীয়বারের মতো এবং সাতজন তৃতীয়বারের মতো করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।
+ There are no comments
Add yours