‘ছাত্রলীগের কর্মীরা পদবাণিজ্য অপবাদের দায় বহন করবে কেন?’

ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি সংগঠনের অপরিহার্য ৩টি অঙ্গের কথা বলেছেন।

‘‘১) যোগ্য নেতৃত্ব

২) আদর্শ বা ম্যানিফেস্টো

৩) নিঃস্বার্থ কর্মী।’’

কার্যত একটি সংগঠনের চালিকাশক্তি হলো হলো নিঃস্বার্থ কর্মী ও সমর্থকবাহিনী।

এই বিশাল কর্মীবাহিনী শীর্ষ নেতৃত্বের পেছনে হাটে বলেই তাদের মূল্য রয়েছে অন্যথায় শীর্ষ নেতাদের কার্যত কোন দৃশ্যমান মূল্য নেই।

পেছনে বিশাল কর্মীবাহিনী না থাকলে তাদেরকে সমাজের কেউ-ই সমীহ করতেন বলে মনে হয়না।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের লক্ষ লক্ষ পরিচয়হীন অভিমানি নেতাকর্মী,

স্বাধীনতার মহান স্থপতি বাঙালির আত্মপরিচয়দাতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান,

প্রাণের নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবার এবং শ্যামলবাংলার পলিমাটির নির্যাস থেকে গড়ে ওঠা-

কালজয়ী গণমানুষের এই মহান পার্টি ব্যতিত কোন বিশেষ ব্যক্তির প্রতি দায়বদ্ধ না।

এই পার্টির অপরিহার্য অঙ্গ হলো পার্টির নিঃস্বার্থ কর্মীরা ; কোন বিশেষ পদধারী নেতা নয়।

তাই এই মুহূর্তে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে দিয়ে ৩০তম সম্মেলন আয়োজন করা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের লাখো কর্মীর প্রথম এবং শেষ দাবি।

এছাড়াও, ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার কল্যাণে আমরা প্রায়ই শুনে থাকি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্ব ও তাদের বিশেষ আশির্বাদপুষ্ট ব্যক্তিগত বলয়ের লোকজন কেন্দ্র থেকে শুরু করে বিভিন্ন ইউনিটে অর্থের বিনিময়ে পদবাণিজ্যের সাথে যুক্ত থাকেন যার অপবাদ, ক্লেদজ গ্লানি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের ৫০ লক্ষ কর্মীকে বয়ে বেড়াতে হয়। পদবাণিজ্যের ইস্যুটি যদি মিথ্যা হয় তাহলে কেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এই মিথ্যা অপবাদের গ্লানি বহন করবে? আর যদি সত্য হয় তাহলে পদবাণিজ্যের সাথে সংশ্লিষ্টদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক সাংগঠনিক ও আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা ছাত্রলীগের ৫০ লক্ষ নেতাকর্মীর প্রাণের দাবি। এই মহান আদর্শিক সংগঠনের যেকোন ইউনিটের পদ বাণিজ্য রুখে দিতে কঠোর সাংগঠনিক পদক্ষেপ প্রয়োজন।

ইয়াসির আরাফাত-তূর্য
সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।