খবর বাংলার প্রতিনিধিঃ একসঙ্গে ২৫০মণ খাবার রান্নার উপযোগী একটি বিশাল ডেক বসানো হচ্ছে ফটিকছড়ির মাইজভাণ্ডারে।
বিশাল চুলার ওপর বসানো হয়েছে ডেকটি।
এত বড় ডেক কারখানা থেকে নেওয়া হয়েছে বন্দরের কনটেইনার পরিবহনের কাজে ব্যবহার হয় এমন একটি লরি (প্রাইম মুভার)।
‘হজরত গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী শাহি তবাররক ডেক’ নামের আড়াইশ’ মণের ডেকটি বসানোর পরিকল্পনা থেকে শুরু করে সবকিছু তদারকি করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সাবেক মেয়র এম মনজুর আলম। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ছয় মাস সময় লেগেছে ডেকটি তৈরি করতে। আমাদের প্রকৌশলীদের সহায়তা নিয়েছি। এত বড় ডেক তৈরি, পরিবহন, চুলা তৈরি, স্বাস্থ্যসম্মত রন্ধন প্রক্রিয়া ও আধুনিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতে কাজ করেছেন তারা। ইতিমধ্যে সুন্দরভাবে উপজেলার রোসাংগিরি ইউনিয়নের আস্তানা গেটে আমরা চুলার ওপর ডেকটি বসাতে পেরেছি। এখনো ক্রেন বসানোসহ টুকিটাকি কাজ বাকি। আশাকরি দ্রুত সব কাজ সম্পন্ন হবে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, লাকড়ি দিয়ে জ্বলবে চুলাটি। কয়েকদিনের মধ্যে ২৫ মণ রান্নার মধ্য দিয়ে পরীক্ষা করবো আমরা। এরপর পর্যায়ক্রমে পরিমাণ বাড়ানো হবে। এটাতে খিচুড়ি, পায়েশ, শাহি জর্দা রান্না করা যাবে। বড় ডেকের পাশে চারটি অপেক্ষাকৃত ছোট ডেক থাকবে। বড় ডেকে রান্নার পর ছোট ডেকে তবাররক নামানো হবে। সেখান থেকে পরিবেশন করা হবে।
এম মনজুর আলম বলেন, বছরে প্রধানত পাঁচটি দিনে রান্না হবে এ শাহি ডেকে।
সেগুলো হলো- ১২ রবিউল আউয়াল, ১০ মহররম, ১০ মাঘ, ২৯ আশ্বিন ও ২২ চৈত্র।
এ ছাড়া কেউ মানত করলে তাকে এ ডেকে রান্নার সুযোগ দেওয়া হবে।
প্রধান দিবসগুলোতে রান্নার আগে আগ্রহীরা যাতে শরিক হতে পারেন সেই ব্যবস্থা থাকবে।
+ There are no comments
Add yours