মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা সামনে রেখে ফটিকছড়ির বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে একাধিক পশুরহাট বসানো হয়েছে।
কোন রকম নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে কোরবানীর দুই সপ্তাহ আগে থেকে এলাকা ভিত্তিক পশুরহাট বসিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একাধিক চক্র।
সরকার দলীয় স্থানীয় কতিপয় নেতা রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে অবৈধ বাজার বসিয়ে হাসিল বাণিজ্যের নামে এহেন তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানাগেছে, উপজেলায় ৪৬ টি বাজারের মধ্যে ২২ টিতে পশু কেনাবেচায় বৈধতা রয়েছে। বৈধ হাটের বিপরীতে অন্তত দশটি স্থানে অবৈধ হাটের অস্থিত্ব পাওয়া গেছে। যত্রতত্র অবৈধ বাজার বসানোর কারণে সরকার যেমন লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে, তেমনি ভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ, সড়ক ও জনবহুল স্থানে বাজার বসানোর ফলে পশুর মল মূত্রে দূষিত হচ্ছে চারপাশের পরিবেশ। ৭ জুলাই বৃহস্পতিবার উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে অধিকাংশ ইউনিয়নে বৈধ হাটের পাশাপাশি অবৈধ হাট বসিয়ে রমরমা আয়োজনে পশু কেনা বেচা চলছে।
স্থানীয় শিক্ষা-সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নামে রসিদ বই ছাপিয়ে নির্বিঘ্নে হাসিল আদায় করছেন একাধিক গ্রুপে বিভক্ত সিন্ডিকেটের সদস্যরা।
অবৈধ বাজার গুলো হল ভূজপুর ইউনিয়নের মির্জারহাট, বাউদ্দার পাড় এবং রাবার ড্যাম।
হারুয়ালছড়ির শান্তিরহাট, সুন্দরপুরের আজিম চৌধুরী ঘাট, পাইন্দং এর ছামার দিঘী, কাঞ্চননগরের কাঞ্চুরহাট অন্যতম।
এছাড়াও, রাজনৈতিক পরিচয়ে বাগানবাজার ইউনিয়নের চিকন ছড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, হেয়াঁকো বনানী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ,
লেলাং ইউনিয়নের মাইজভান্ডার আহমদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, রোসাংগিরী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, নানুপুরে আবু সোবাহান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ
এবং বক্তপুর ইউনিয়নে এনামুল হক একাডেমি মাঠ ব্যবহার করে পশুরহাট বসানোর খবর পাওয়া গেছে।
উপজেলায় পর্যাপ্ত পশুরহাট থাকা সত্তেও যত্রতত্র বাজার বসায় বৈধ হাটে পশু কেনা বেচা অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে।
এভাবে আর কিছু দিন চলতে থাকলে বৈধ হাটে পশু বিক্রি একেবারে বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশংকা করছেন ইজারাদাররা।
অন্যদিকে, অভ্যন্তরীণ সড়ক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠে পশুরহাট বসানোকে ভাল ভাবে নিচ্ছেন না স্থানীয় সচেতন মহল। এ নিয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
+ There are no comments
Add yours