সংবাদমাধ্যম দ্য ভার্জের প্রতিবেদন অনুযায়ী, টিকটক ব্যবহারকারীদের ‘নিজের’ বেল্ট, টাই বা অনুরূপ কিছু দিয়ে শ্বাসরোধ করতে উৎসাহিত করা হয়, যতক্ষণ না তারা এই চ্যালেঞ্জে উত্তীর্ণ হতে পারছে।
অভিভাবকদের দাবি, টিকটকের ভয়ঙ্কর ‘ব্ল্যাকআউট চ্যালেঞ্জ’ অ্যাক্সেপ্ট করে তাদের সন্তানরা শ্বাসরোধে মারা গেছে।
এ নিয়ে টিকটকের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
সম্প্রতি দুটি মামলা দায়ের করেছেন আট বছরের লালানি ওয়াল্টন এবং নয় বছরের আরিয়ানি আরোয়োর অভিভাবকরা।
একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে ভার্জ বলছে-
- গত বছরের জানুয়ারিতে ইতালিতে ১০ বছর বয়সী একজনের
- মার্চে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোতে ১২ বছর বয়সী এক কিশোরের
- জুনে অস্ট্রেলিয়ায় ১৪ বছরের এক কিশোরের
- জুলাইয়ে ওকলাহোমায় ১২ বছরের এক কিশোরের
- ডিসেম্বরে পেনসিলভেনিয়ায় ১০ বছরের আরেক কিশোরের মৃত্যু হয়।
এসব ক্ষেত্রে মৃত্যুর কারণ টিকটকের ব্ল্যাকআউট চ্যালেঞ্জ।
পেনসিলভেনিয়ার ১০ বছরের কিশোর নাইলা অ্যান্ডারসনের মা তাওয়াইনা অ্যান্ডারসন।
সন্তানের মৃত্যুর পর ইতোমধ্যে টিকটকের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। তার দাবি, এই চ্যালেঞ্জ বাচ্চাদের বিপজ্জনক কাজের দিকে ঠেলে দেয়।
কিছু ক্ষেত্রে আবার এমনও দেখা গেছে যে, কিশোররা ব্ল্যাকআউট চ্যালেঞ্জ না খুঁজে ফিল্ম দেখেই ভয়ঙ্কর বিপদের সম্মুখীন হয়েছে।
এ বিষয়ে টিকটকের একজন মুখপাত্র বলেন, এই অস্থির চ্যালেঞ্জ কখনই টিকটকের ছিল না।
তার কথায়, অন্য জায়গা থেকে শুনে ব্যবহারকারীরা এই চ্যালেঞ্জে অংশ নিচ্ছিল এবং টিকটকে তার ভিডিও শেয়ার করছিল।
তিনি আরও বলেন, এমন কোনও ফিচার বা চ্যালেঞ্জ টিকটক নিজে থেকে নিয়ে আসে না, প্রচার করার কোনও প্রশ্নই নেই।
তিনি বলেন, আমরা ব্যবহারকারীর নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতিদানে সর্বদা মনোযোগী। এমন কোনও বিষয় আমাদের প্ল্যাটফর্মে আবিষ্কৃত হলে যত দ্রুত সম্ভব আমরা সেটিকে সরিয়ে ফেলব। যাদের পরিবারে এমন বিরাট ক্ষতি হয়েছে, আমাদের হৃদয় পড়ে রয়েছে তাদের সঙ্গে।
+ There are no comments
Add yours