চট্টগ্রাম নগরীতে টানা ৭ ঘণ্টা কার্যক্রম চালিয়ে প্রায় ১২ হাজার মেট্রিক টন কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিটি করপোরেশন।
সংস্থাটির দাবি, এ সময়ের মধ্যে কোরবানির বর্জ্যের ৯০ শতাংশ অপসারণে তারা সক্ষম হয়েছেন।
তবে বিভিন্ন বাসাবাড়ি থেকে অলিগলিতে এখনও বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। শেষ মুহূর্তে সেগুলো অপসারণের কাজ চলছে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ৭ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য শতভাগ অপসারণের নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
রোববার (১০ জুলাই) দুপুরে মেয়র রেজাউল নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম দেখেন।
মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন,
‘গতবছরের মতো এবারও যাতে আমরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোরবানি বর্জ্য অপসারণ করতে পারি সেজন্য সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর, পরিচ্ছন্ন বিভাগ, প্রকৌশল বিভাগ, যান্ত্রিক বিভাগের সমন্বয়ে টিমওয়ার্কের পরিকল্পনা নিয়েছিলাম। ইনশাল্লাহ সবার সম্মিলিত চেষ্টায় সাত ঘণ্টার মধ্যেই আমরা নগরীতে কোরবানির বর্জ্য প্রায় অপসারণ করতে সক্ষম হয়েছি। পুরো শহর পাঁচটি ভাউচারের মাধ্যমে পানি ছিটিয়ে পরিস্কার করা হয়েছে। ১১টি ভ্রাম্যমাণ টিম আছে। কোথাও পশুর নাড়িভুঁড়ি, রক্ত, বর্জ্য পড়ে থাকার খবর পাওয়ামাত্র তারা সেখানে গিয়ে পরিস্কার করছে।’
বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য নগরীকে ছয়টি জোনে ভাগ করে ছয়জন কাউন্সিলর মনিটরিংয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন।
নগরীর উত্তর-দক্ষিণের ২২ টি ওয়ার্ডের বর্জ্য ফেলা হয়েছে নগরীর আরেফিন নগরের আবর্জনাগারে।
পতেঙ্গা-বন্দর এলাকার বাকি ১৯টি ওয়ার্ডের বর্জ্য ফেলা হয়েছে হালিশহরে আবর্জনাগারে।
+ There are no comments
Add yours