বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে জাতিসংঘের প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে-
বিশ্বের জনসংখ্যা চলতি বছরের ১৫ নভেম্বরের মধ্যে ৮০০ কোটিতে পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জাতিসংঘ বলছে, ২০৫০ সাল পর্যন্ত অনুমেয় বৈশ্বিক জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি বৃদ্ধি পাবে মূলত আটটি দেশে— কঙ্গো, মিসর, ইথিওপিয়া, ভারত, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইন এবং তানজানিয়ায়। তবে ২০৫০ সালের মধ্যে সাব-সাহারান আফ্রিকার দেশগুলোতে জনসংখ্যা প্রত্যাশার তুলনায় অর্ধেকেরও বেশি বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আর বিশ্বজুড়ে মৃত্যুহার কমে যাওয়ায় ২০৩০ সালে বিশ্বে জনসংখ্যা ৮৫০ কোটি এবং ২১০০ সালে ১ হাজার ৪০ কোটিতে পৌঁছাতে পারে।
আগামী ২০২৩ সালে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসেবে চীনকে ছাড়িয়ে যাবে ভারত।
বর্তমানে এই দুই দেশে পৃথকভাবে ১৪০ কোটিরও বেশি করে জনসংখ্যা রয়েছে। অর্থাৎ দক্ষিণ এশিয়ার উভয় দেশে বর্তমানে ২৮০ কোটির বেশি মানুষের বসবাস।
তবে জনসংখ্যার ক্রমবর্ধমান এই বিস্ফোরণ আগামীতে উভয় দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারে।
সোমবার জাতিসংঘের নতুন এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
জনসংখ্যাবিষয়ক জাতিসংঘের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ১৯৫০ সালের পর বর্তমানে বিশ্বের জনসংখ্যা সবচেয়ে ধীরগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গত বছর বিশ্বজুড়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ শতাংশেরও নিচে নেমে গেছে।
এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস বলেছেন-
এটি আমাদের বৈচিত্র্যতার উদযাপন, আমাদের সাধারণ মানবতার স্বীকৃতি ও স্বাস্থ্যসেবার অগ্রগতিতে বিস্মিত হওয়ার এক উপলক্ষ; যা মানুষের আয়ু বৃদ্ধি করেছে এবং নাটকীয়ভাবে মা ও শিশু মৃত্যুর হার কমিয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) কিছুদিন আগের একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে জাতিসংঘ বলছে-
২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্বে করোনাভাইরাস মহামারির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রায় এক কোটি ৪৯ লাখ মৃত্যু ঘটেছে।
বিশ্বজুড়ে মানুষের গড় আয়ু ২০১৯ সালের ৭২ দশমিক ৮ বছর থেকে ২০২১ সালে কমে ৭১ বছর হয়েছে।
মানুষের গড় আয়ু কমে যাওয়ার পেছনে অন্যতম ক্রীড়ানক হিসেবে কাজ করেছে করোনাভাইরাস মহামারি।
+ There are no comments
Add yours